প্রথমে ভুয়া প্রশ্ন কিনে প্রতারিত হয়েছেন, এরপর নিজেরাই আবার শুরু করে প্রতারণা। ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলে ভুয়া প্রশ্ন দিয়ে চক্রটি হাতিয়ে নিতো টাকা। সম্প্রতি রাজধানী ও আশপাশে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের দুইজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের ফাঁস হওয়া প্রশ্ন কেনার হীনমানসিকতাকে কাজে লাগাচ্ছে চক্রগুলো।
যে কোনো ধরনের পাবলিক পরীক্ষা সামনে এলেই প্রশ্ন ফাঁসকারী ও প্রশ্ন কেনা, এই দুটি গ্রুপ সক্রিয় হয়ে ওঠে। কিছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক টাকা নিয়ে প্রশ্ন কেনার জন্য ছুটতে থাকে। আর এই সুযোগই কাজে লাগায় অসাধু চক্র।
চক্রটি প্রথমে ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যুক্ত করে। এরপর পরীক্ষার আগে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দেয়া হবে বলে অফার দেয়। ঠিক পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টা খানেক আগে কয়েকবছর আগের প্রশ্ন কিছুটা সংযোজন-বিয়োজন করে দেয়া হতো শিক্ষার্থীদের।
এমন অভিযোগ পেয়ে তদন্ত নামে গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে রাজধানী ও আশপাশে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের দুই জনকে গ্রেফতার ডিবি পুলিশের লালবাগ বিভাগের একটি দল।
ডিএমপির ডিসি (লালবাগ), মশিউর রহমান বলেন, এরা একটি চক্র প্রথমে কেও একজন প্রশ্ন কেনে তারপর একজনের কাছ থেকে আরেকজন কিনে থাকে। এসব প্রশ্ন ফাঁসের সাথেই যারাই যুক্ত আছে, সবার বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে। যারা দেশকে মেধা শূন্য করার জন্য এসব করবে তাদের সাথে আপস করা হবে না।
এটিএম/
Leave a reply