আনসু ফাতির ‘এড়ানো যেতো না’ এমন হ্যান্ডবলে বাতিল পেদ্রির গোল। ইনজুরি টাইমে বার্সার অনেকটাই যৌক্তিক পেনাল্টির আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি। এই দুই ঘটনাকেই ভুলে যেতে পারতেন হয়তো বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ। কিন্তু উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে দারুণ খেলেও ইন্টার মিলানের কাছে ১-০ গোলে হেরে শেষ ১৬ তে যাওয়ার মিশনে কিছুটা বেকায়দায় এখন বার্সা। আর তাই রেফারির ওপর ম্যাচ শেষে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন জাভি। বললেন, এসব অবিচার। এসব সিদ্ধান্তের কোনো ব্যাখ্যাই খুঁজে পাচ্ছি না।
মৌসুমে দারুণ ছন্দে থাকা বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়নস লিগে এসে আবারও হোঁচট খেয়েছে। লা লিগায় ৫ ম্যাচে গোল না খাওয়া আর টানা ৬ ম্যাচ জেতা জাভির দল চ্যাম্পিয়নস লিগে হেরে বসেছে সিরি আ’তে পয়েন্ট টেবিলের ৯ নম্বরে থাকা ইন্টারের কাছে। আর তাতেই ‘সি’ গ্রুপ থেকে শেষ ১৬ নিশ্চিতে বার্সেলোনা পড়েছে হুমকির মুখে। ৩ ম্যাচে ৩ জয়ে শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ। ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইন্টার। আর টানা দুই হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে বার্সেলোনা।
বল দখলে রাখা বার্সার ঐতিহ্য। এই ম্যাচেও বল ছিল নিজেদের দখলে। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারছিল না জাভির দল। উল্টো বিরতির ঠিক আগে চালানোগলুর করা একমাত্র গোলই গড়ে দেয় ৩ পয়েন্টের পার্থক্য। তবে ম্যাচের প্রধান চরিত্রে ছিল ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভিএআর। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে পেদ্রির গোল বাতিল করা হয় আনসু ফাতির হ্যান্ডবলের কারণে। তবে, ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায়, ফাতির হ্যান্ডবল একেবারেই অনিচ্ছাকৃত, এড়ানোর উপায় ছিল না।
এরপর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তেও মঞ্চস্থ হয় আরেক প্রস্থ নাটক। ডি বক্সে আনসু ফাতির সামনে থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বার্সার ক্রস কবজিতে লাগান ইন্টারের ডামফ্রাইস। মাঠের রেফারি স্লাভকো ভিনচিচ দীর্ঘ সময় ভিএআরের সহায়তা নিয়ে বার্সার পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন। আর এসব ঘটনাতেই চটেছেন জাভি। ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ বলেন, এসব নিয়ে রেগে আছি। এসবের ব্যাখ্যা বুঝতে পারছি না। আনসুর হাতে বল লাগলো, গোল করলো আরেকজন; তবু তা বাতিল করা হলো। আর পরের ঘটনাও বুঝতে পারছি না। এটা অবিচার। রেফারির উচিত এসব সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করা।
আরও পড়ুন: ইন্টারের কাছে হেরে গেল বার্সেলোনা
/এম ই
Leave a reply