দেশীয় প্রযুক্তিতে সচল হওয়া ডেমু ট্রেন পার্বতীপুর-রংপুর রুটে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন অচল পড়ে থাকা ডেমু ট্রেনকে নতুন রূপ দেয়া হয়েছে। এর আগে আগস্ট মাসে সম্পন্ন হয় ডেমু ট্রেনের ট্রায়াল।
রোববার (৯ অক্টোবর) পার্বতীপুর স্টেশনে উদ্বোধন করা হয় ডেমু ট্রেনটি। ট্রেনটি উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী ও ডেমু ট্রেন সচল করার কারিগররা। প্রকৌশলী জানান, নিজস্ব প্রযুক্তিতে ডেমু ট্রেন সচল করায় দেশের কয়েক কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
উদ্বোধনের পর প্রায় এক হাজার যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ডেমু ট্রেন। আনুষ্ঠানিক ও যাত্রায় রেলমন্ত্রীকে দেশীয় প্রযুক্তির পুরোটা সবিস্তারে দেখান মৃত ট্রেনে প্রাণ দেয়ার কারিগররা। সাধারণ যাত্রীদের উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে দেখার মতো। আনুষ্ঠানিক যাত্রার শেষ হয় খোলাহাটীতে। এরপর আবারও পার্বতীপুরে ফিরে যায় ট্রেনটি।
এই প্রযুক্তি সফল হলে অকেজো ট্রেনগুলোকে আবারও সচল করা সম্ভব হবে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, ২০ বছর পর্যন্ত কম তেল খরচে আমরা এই ট্রেন চালাতে পারবো, এটা বিশাল এক অর্জন। আগামী ১-২ মাসের মধ্যে যদি এই প্রযুক্তি সফলতা দেখাতে পারে, তাহলে বর্তমানে অকেজো থাকা ১৪টি ট্রেনের মধ্যে ৫-৬টি ট্রেন আবারও সচল করতে পারবো।
এই যুগান্তকারী অর্জনের পেছনের মূল কারিগর হলেন প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ভালো লাগছে যে নতুন একটি যুগের সূচনা হবে। দেশীয় এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি ট্রাকে যতটুকু তেল খরচ হয়, এই ডেমু ট্রেনেও ততটুকু তেল খরচ হবে। এর মাধ্যমে দেশের এতোগুলো টাকা সাশ্রয় হবে।
এসজেড/
Leave a reply