সর্বাধিক ভোটে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ

|

ছবি: সংগৃহীত

সর্বাধিক ভোট পেয়ে আগামী তিন বছরের জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সাল থেকে তিন বছরের এ মেয়াদ শুরু হবে।

মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সাধারণ পরিষদে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৬০ ভোট। এ নির্বাচনে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরেসি। এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময় সাধারণ পরিষদ হলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

নির্বাচনে জয়লাভের পর এক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৭ সদস্যের এ কাউন্সিলে বাংলাদেশ ৫ম বারের মতো নির্বাচিত হলো। এটি জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবদানের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাউন্সিলের দায়িত্ব পালনে আমাদের দক্ষতারই একটি সুস্পষ্ট প্রমাণ।

নির্বাচনকালে প্রতিমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত। বিপুল ভোটে বাংলাদেশকে মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত করার জন্য সদস্য দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। তিনি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় জাতিসংঘের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে সবার সাথে একযোগে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ থেকে নির্বাচিত অন্যান্য সদস্য দেশগুলো হলোপ- কিরগিজস্থান, ভিয়েতনাম, ও মালদ্বীপ।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এবারের নির্বাচন ছিল অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, বিশেষ করে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৬টি দেশ এ অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত ৪টি আসনের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। জাতিসংঘ বিশেষ করে মানবাধিকার কাউন্সিলে আমাদের গঠনমূলক ও নীতিগত উপস্থিতির ফলে আজ আমরা এত বিপুল সংখ্যক ভোটে জয়লাভ করতে পেরেছি।

নির্বাচনের পর বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, শাসন ব্যবস্থা এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক নেতৃত্ব এবং বিশ্ব শান্তির জন্য তার সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন তারা। মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে উদীয়মান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের আদর্শ বাস্তবায়নে তাত্পর্যপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তারা।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দফতর, বেসরকারি সংস্থাসহ (এনজিও) বিভিন্ন মহল সমালোচনা করে আসছে। পক্ষান্তরে জাতিসংঘের দেয়া গুমের তালিকার সঠিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সরকারের তরফ থেকে। এমন প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সদস্য পদে বাংলাদেশের এমন বিজয়কে কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply