মাঠের মধ্যে চিরকুট নিয়ে নেমেছেন , নকল করে সফলও হয়েছেন। তবে এ নকল পরীক্ষার হলের নকল নয়, এ নকল ছিল উইন্ডিজ ব্যাটারদের নিয়ে মার্ক ওয়াটের গবেষণাপত্র। কিন্তু কী ছিল মার্ক ওয়াটের চিরকুটে?
একজন বোলার ২২ গজ না, বল করছেন ২৪ গজ থেকে, অনেকটা আম্পায়ারের পাশ থেকে- মার্ক ওয়াটের এমন অ্যাপ্রোচ তার পরিকল্পনারই অংশ। পরিকল্পনার জায়গাটায় মার্ক ওয়াট এতোই সিরিয়াস যে উইন্ডিজের সাথে ম্যাচে রীতিমত এক হোমওয়ার্ক চিরকুট নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন। যে চিরকুটে ছিল উইন্ডিজের ব্যাটারদের নিয়ে তার গবেষণাপত্র ।
চিরকুটের একটি অংশে দেখা যায়, কাইল মায়ার্স, এভিন লিউইস, ব্র্যান্ডন কিং এবং নিকোলাস পুরানের ব্যাটিং এর বিভিন্ন অ্যাপ্রোচ, তাদের শক্তি এবং দুর্বলতার সারসংক্ষেপ। এই যেমনটা কাইল মায়ার্সের ক্ষেত্রেই ধরা যাক, চিরকুটে লেখা আছে তিনি ডাউন দ্য উইকেট যেতে পছন্দ করেন, হিপের কাছে আসা বলগুলোতে কুইক মুভ করতে পারেন এবং রিভার্স সুইপ পছন্দ করেন।
বিস্তারিত দেখতে ক্লিক করুন এখানে
তবে চিরকুট থেরাপির সব থেকে কার্যকরী প্রয়োগ দেখা গেছে ব্রেন্ডন কিং এর বেলায়। ওয়াটের গবেষণায় ব্রেন্ডন কিং স্লো স্টার্টার, এরপর লেখা কিং লেগ সাইডে থাকতে পছন্দ করেন, তিনি টার্গেট করেন এক্সট্রা কাভারকে।
সেই ওভারের ৩য় বলেই তেমন একটি শট খেলার জন্য ব্রেন্ডন কিং অফ স্ট্যাম্পটাকে এক্সপোজ করে দিলেন, ব্যাস আর মিস করেননি মার্ক ওয়াট। সেই বলেই পরাস্ত কিং।
নিজের প্রতিটি ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষের ভিডিও ফুটেজ দেখে তার ব্যাপারে গবেষণা করেন মার্ক ওয়াট । শুধু গবেষণা নয়, গবেষণা করে সেগুলোকে একসাথে সাজিয়ে রীতিমত আত্মস্থ করেন তিনি। একজন ক্রিকেটারের এরকম হোমওয়ার্ক প্রশংসা কুড়াচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বে। সেই সাথে, মাঠে চিরকুট নিয়ে প্রবেশ প্রচলিত ক্রিকেটীয় চেতনার পরিপন্থী কি না তা নিয়েও চলছে আলোচনা। তবে, দিনশেষে সফল ওই মার্ক ওয়াটই।
/এসএইচ
Leave a reply