রাজধানীতে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য, দলবল নিয়ে যাত্রীদের আক্রমণ

|

রাজধানীতে হঠাৎ বেড়েছে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য। কেবল বাসের জানালা দিয়ে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া বা হঠাৎ হামলা নয়, রীতিমতো দলবল নিয়ে যাত্রীদের আক্রমণ করছে তারা। দেখা যাচ্ছে অস্ত্রের ব্যবহারও। তাছাড়া মোটরসাইকেলে করে রিকসাযাত্রীদের টার্গেট করে অলিগলিতে চলছে ছিনতাই। এরকম দুটো সংঘবদ্ধ চক্রকে আটক করে র‍্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ছিনতাই বন্ধে সাঁড়াশী অভিযান শুরু হবে।

রাজধানীর আসাদ গেট এলাকার একটি ঘটনার ভিডিও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। দেখা যায়, সিগন্যালে জ্যামের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে ছুরি-চাকু নিয়ে হামলা করে একদল ছিনতাইকারী। জানালার কাঁচ ভেঙে যাত্রীদের ভয়ভীতি দেখায় তারা।

অন্য একটি ঘটনা ঘটে ১৫ অক্টোবর। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে একে একে জড়ো হচ্ছে ছিনতাইকারীর দল। রিকশাওয়ালাদের কাছ থেকেও তাদেরকে টাকাপয়সা লুট করতে দেখা যায়। পুলিশ বলছে, সেদিন এই দলটির কবলে পড়েন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী স্বাধীন সরকার ও তার ভাই মোশারফ। আদাবর যাওয়ার পথে লালমাটিয়া এলাকায় রিকশা আটকে মারধর করে তাদের ৪৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় মামলার পর ২ আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আজিমুল হক বলেন, গতকাল (২০ অক্টোবর) থেকে আমরা ৭ দিনের একটি অভিযান শুরু করেছি। এই অভিযানের মূল কাজ হচ্ছে, ছিনতাইকারী ধরা। সকল সিনিয়র অফিসারও এতে নিযুক্ত আছে। আমাদের সিনিয়র অফিসাররাও সিভিল পোষাকে ডিউটি করছে।

রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে উত্তরা-টঙ্গীর রাস্তায় গণপরিবহনের জানালা দিয়ে বেড়েছে ছিনতাই। এ এলাকায় সংঘবদ্ধ ছিনতাই দলের হোতা শরীফসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ চোরাই মোবাইল ফোন সেট।

র‍্যাব-১’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, তারা মূলত নিরীহ পথচারীদের টার্গেট করতো। মোবাইলসহ স্বর্ণালংকার এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করতো। এছাড়া, এই রুটের বাসগুলো ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকার সময়গুলোতে মোবাইন ফোন ছিনতাই করতো তারা।

আরও পড়ুন: জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস বর্জন ঘোষণা যাত্রী কল্যাণ সমিতির

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply