গভীর অর্থনৈতিক সংকটে যুক্তরাজ্য: ঋষি সুনাক

|

যুক্তরাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ ও প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভুত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

যুক্তরাজ্যে গভীর অর্থনৈতিক সংকটের কথা স্বীকার করলেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ঋষি বলেছেন, সংকট মোকাবেলায় পূর্বসুরী লিজ ট্রাস যে ভুল নীতি নিয়েছিলেন তা সংশোধন করা হবে। খবর সিএনএনের।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে রাজা ৩য় চার্লসের সাথে সাক্ষাতের মাধ্যমে নতুন এক ইতিহাস গড়েছেন ঋষি সুনাক। কেবল ভারতীয় বংশোদ্ভুতই নন; ব্রিটেনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রীও তিনি। গত ২০০ বছরে দেশটির সবচেয়ে কম বয়সী সরকার প্রধানও তিনি।

৪২ বছর বয়সী সুনাক প্রথম এমপি নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে। মাত্র ৭ বছরের ব্যবধানে নাটকীয় এক উত্থানে তিনি উঠে এলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদে। এর আগে ছিলেন, অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে। রাজনৈতিক ক্যারিয়ার অল্প দিনের হলেও, টালমাটাল সময়ে সুনাকের ওপরই আস্থা রেখেছে কনজারভেটিভ পার্টি। প্রথম ভাষণে সে আস্থার মূল্য দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

ব্রিটেনের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার ভাষণে বলেন, এ মুহূর্তে ভয়াবহ এক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। করোনা মহামারির রেশ না কাটতেই; ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালিয়ে জ্বালানির বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছেন পুতিন। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সরবরাহ। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই সমস্যাগুলোর সমাধানেই কাজ করবো।

সুনাক মনে করেন, ভুল নীতি নিয়েছিলেন পূর্বসূরী লিজ ট্রাস। যা সংশোধন করতে হবে। এ প্রসঙ্গে ঋষি সুনাক বলেন, পরিবর্তনের জন্য তার (লিজ ট্রাসের) চেষ্টা প্রশংসনীয়। তবে, কিছু ভুল রয়ে গিয়েছিলো। সেসব শোধরানোর জন্যেই আমাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি; বানিয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী। সেগুলো, শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে।

প্রসঙ্গত, ঋষি সুনাকের দাদা ভারত থেকে পাড়ি জমিয়েছিলেন কেনিয়ায়। সেখানেই জন্ম তার বাবার। পরবর্তীতে তিনি আবাস গড়েন ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে। সেখানেই ১৯৮০ সালে জন্ম হয় সুনাকের। সচ্ছল ঘরের সন্তান হিসেবে ব্রিটেনের অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করেন তিনি। গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বিখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকসের সাবেক কর্মকর্তা সুনাক যুক্তরাজ্যের অন্যতম ধনী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। ২ সন্তানের জনক এ রাজনীতিকের শ্বশুর ভারতীয় ধনকুবের ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply