ইউক্রেনজুড়েই রুশ আগ্রাসনের চিহ্ন হিসেবে জল কিংবা স্থলে পড়ে রয়েছে হাজার হাজার মাইন-গোলাবারুদ। পুনরুদ্ধারকৃত অঞ্চলগুলো বসবাসের উপযোগী করে তোলার লক্ষ্যে তা অপসারণে নেমেছে বিশেষজ্ঞ দল। খারকিভসহ বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে মাইনমুক্তকরণ কার্যক্রম। এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতেও চলছে কর্মযজ্ঞ।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা ইউক্রেন থেকে পুরোপুরি মাইন-গোলাবারুদ অপসারণ করতে অন্তত ১০ বছর লেগে যাবে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিদিন গড়ে খারকিভের তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার ভূমি পরিষ্কার করা হচ্ছে। ইউক্রেনের ডিমাইনিং স্কোয়াডের কমান্ডার ম্যাকস্যাম টমকো বলেন, প্রতিদিন আমরা ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার জায়গা পর্যন্ত আমাদের এ কার্যক্রম চালাই।
গোলাবারুদ অপসারণ করা একটি এলাকার কৃষি খামারে রুশ সেনারা গোলাবারুদ রেখেছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমরা বিপুল গ্রেনেড, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মাইন পেয়েছি, যেগুলো অবিস্ফোরিত ছিল।
মাইনমুক্তকরণ কাজ শেষে শুরু হয় ইলেক্ট্রিশিয়ানদের কর্মযজ্ঞ। রুশ আগ্রাসনে বিপর্যস্ত খারকিভসহ অনেক অঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। বিচ্ছিন্ন হয়েছে বৈদ্যুতিক লাইন। আর তাই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার কাজও চলছে এলাকাগুলোতে।
অ্যানাতলি বরিসেঙ্কো নামের দেশটির এক ইলেক্ট্রিশিয়ান বলেন, এখানকার বিদ্যুতের অর্ধেক লাইনেরই মেরামত প্রয়োজন। এখনও অনেক জায়গায় আমরা যাইনি। এ পর্যন্ত যেটুকু এলাকায় দেখেছি, বেশিরভাগ বৈদ্যুতিক লাইনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সহসাই রুশ আগ্রাসনের এসব চিহ্ন মুছে ফেলতে পারছে না ইউক্রেন, তা স্পষ্ট। কর্তৃপক্ষ বলছে, গোটা দেশ থেকে এই যুদ্ধ সরঞ্জাম পুরোপুরি অপসারণে লাগবে অন্তত ১০ বছর।
/এমএন
Leave a reply