রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় আরো দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

|

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ।

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় আরো দুজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে গত দুদিনে এই মামলায় তিনজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিলেন।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে সাক্ষ্য দেন দুই সাক্ষী। এর আগে সোমবার এই মামলার বাদী ও এক নম্বর সাক্ষী নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার দুই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম। সাক্ষীরা হলেন, হামিদ মাঝি এবং নুরে আলম। তার দুজনই মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিলেন বলে জানিয়েছেন আদালতকে। এ মামলার ১৪ আসামির উপস্থিতিতেই সাক্ষ্য দেন তারা।

এর আগে সোমবার সাক্ষ্য দেয়ার সময় মামলার বাদী হাবিবুল্লাহ আদালতে জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য জোরালোভাবে ভূমিকা পালন করায় সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করেছে। রোহিঙ্গারা যাতে দ্রুত তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে এ জন্য তিনি ক্যাম্পে ক্যাম্পে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। রোহিঙ্গাদের দ্রুত স্বদেশে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও নানা দাবি তুলেছিলেন মুহিবুল্লাহ।

প্রসঙ্গত, আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ১-ইস্ট নম্বর ক্যাম্পের ডি ব্লকে নিজ সংগঠনের কার্যালয়ে মুখোশ পরা একদল বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ সাড়ে আট মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দীন ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এতে সাত জনের নাম ঠিকানা সঠিক পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে ৩৮ জনের নাম ও ঠিকানা সাক্ষীর তালিকায় রয়েছে। আদালত শুনানি শেষে ১১ সেপ্টেম্বর ২৯ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন।

বর্তমানে মুহিবুল্লাহর পরিবারের ২৫ জন সদস্য কানাডায় বসবাস করছেন। জাতিসংঘের শরনার্থী বিষয়ক সংস্থার সহায়তায় প্রথম দফায় ৩১ মার্চ স্ত্রীসহ ১১ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কানাডা পাড়ি জমান।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply