তারা একেকজন গানের ‘চিত্রকর’। সুর আর কথায় ছবি আঁকেন যাপিত জীবনের। যদি আপনার কাছে থাকে গানের কথা কিংবা সুর; শহরের এই চিত্রকরেরা তা ফুটিয়ে তুলতে প্রস্তুত। গানপ্রেমীদের এ স্টেশনের সাথে যোগাযোগ করে যে কেউই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে এই কংক্রিটের রাজধানীতে। এমন প্রচেষ্টা থেকে এরইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে ‘আনন্দ দাও’, ‘উপ’ অথবা ‘মনোহর’ এর মতো গান।
বহুদূর দিগন্ত জুড়ে স্বপ্ন ছড়ানো, পিছু ডেকে যাওয়া সময় কিংবা মুছে যাওয়া সেইসব মুহূর্তগুলো, আমাদের প্রাণে ডেকে ওঠে মনোহর’। সুরে সুরে নাগরিক প্রাণে বেজে ওঠা মনেরই কাছে গেঁথে থাকা, মনোহর শব্দমালার বিচ্ছুরন যেনো ঘটছে, হাতিরপুল সেশনসে।
জোনাকি, অনিরুদ্ধ, অনয় আর রাতুল চারজন ছন্নছাড়া মানুষের জমে থাকা আবেগের প্রকাশ হয়েছে এখানে। গানপাগল বন্ধুজনেরা নিজেদের চারপাশের জানালার গল্প বলছেন স্টুডিওতে। সুরে-কথায়।
হাতিরপুল সেশনস এর সদস্য অনিরুদ্ধ অনু বলেন, অন্য একটা মানুষের গান আমি যখন গাইবো তখন তার চিন্তাভাবনা আমি হয়তো অনেক সময়ই সম্মান করতে পারি না বা হয়তো সেটা আমি আমার মতো করে ইন্টারপ্রেট করছি। আমার মনে হয় এটা বেশ কঠিন।
হাতিরপুল সেশনস এর আরেক সদস্য শাহনাজ জোনাকি বলেন, খ্যাতি অতোটাও গুরুত্বপূর্ণ নয়, গান করতে চায় বা গানকে ভালোবাসে এমন মানুষদের আমরা খুঁজে বের করবো।
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার তপেস কিংবা ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষক ভাষা। ভাবের রসায়নের প্রকাশ ঘটান, কথা আর ছন্দে।
হাতিরপুল সেশনস এর সদস্য মার্ক রাতুল সিনহা জানালেন, হয়তো একজনের একটা গান আছে কিন্তু হয়তো কম্পোজ করতে পারছে না। সেটা যদি আমাদের ভালো লাগে তখন আমরা তাদের ডেকে নিয়ে আসি। তখন আমরা সবাই মিলে একটা সুন্দর উপস্থাপনা দেই।
হাতিরপুল সেশনস এর আরেক সদস্য অনয় চৌধুরী, তৃতীয় যে সিজনটা আসবে তাতে আমরা ভিজ্যুয়ালের দিকে একটু বেশি মনযোগ দিবো। অডিও হয়তো আরেকটু উন্নত হবে।
ভালবাসার দরদের সুর, যত্নে তুলে রাখা কথামালা আর কণ্ঠের মায়াগুলোর উচ্চারণে, ভাবনার মিল করে এখানে গান বাধতে পারবেন যে কেউ।
অঙ্কনের গান ‘উপ’তে শ্রোতার বুঁদ হওয়ার সুযোগটাও করে দিয়েছিল এই প্ল্যাটফর্ম। অর্কেস্ট্রা প্রস্তুত, শুধু মিল হওয়া চাই পছন্দ আর ভাবনার। শহরের কোনে একটা ছোট্টরুমের যন্ত্রগুলো বেজে উঠবে রুচিশীল মন আর প্রাণের খোরাক জোগাতে।
/এসএইচ
Leave a reply