ক্যাচ মিস মানেই ম্যাচ মিস – প্রচলিত এই ধারণা ক্রিকেট মাঠে বেশ জনপ্রিয়। এই বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ তা হাড়ে-হাড়ে টের পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। জীবন পেয়েই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন রাইলি রুশো।
ক্যাচিংয়ে বাংলাদেশের দুর্বলতা ছিল সব সময়ই। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার একটি-দু’টি ব্যর্থতা ছাড়া- এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভারতের চেয়েও ক্যাচিং সফলতায় বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ।
ক্যাচ নেয়ায় সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ সফল ইংলিশরা। ২০ ক্যাচের তিনটি বাদে সবকটি লুফে নিয়েছে বাটলারের দল। এরপর যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ৮৩, পাকিস্তান ৮০ ও শ্রীলঙ্কা ৭৯ শতাংশ ক্যাচ ধরে আছে তালিকার দুই, তিন ও চার নম্বরে। এ তালিকায় টাইগারদের অবস্থান পাঁচে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ পর্যন্ত ২২ ক্যাচের সুযোগ পেয়ে ৬টি মিস করেছে বাংলাদেশ। ক্যাচ ধরায় টাইগারদের সফলতার হার ৭৯ শতাংশ।
বিপরীতে, ভারতের কাছে ১৬ ক্যাচের সুযোগ থাকলেও তারা লুফে নিতে পেরেছে মাত্র ১০টি। নিজেদের প্রথম চার ম্যাচেই ৬ ক্যাচ মিস করেছে ভিরাটরা। ক্যাচ ধরার সফলতায় ভারতের চেয়ে এগিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডসও।
৮ ক্যাচের ৫টি লুফে নিয়ে ১২ দলের মাঝে নয় নম্বরে আছে অজিরা। যদিও অন্যান্য দলের তুলনায় অজিদের সামনে ক্যাচের সুযোগটাও ছিলো তুলনামূলক কম।
দলের পারফরম্যান্স যেমনই হোক ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতিটা চোখে পড়ার মতোই। ক’দিন আগেই সাকিব আল হাসানও শুনিয়েছিলেন আশার কথাই। তরুণ এই দলটা সেরা ফিল্ডিং সাইট হতে পারে বলেছেন টাইগার অধিনায়ক।
Leave a reply