টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কখনই শিরোপা জেতে না স্বাগতিকরা

|

হতাশ অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।

গ্রুপ ওয়ানের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। একই সাথে আসরের স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে তারা। অবশ্য এবারই প্রথম না, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে এর আগে কোনো আসরেই ট্রফি ঘরে রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। এমনকি একবার ফাইনালে আর দু’বার সেমিফাইনালে খেলা ছাড়া আয়োজক দেশ সব সময়ই বাদ পড়েছে শেষ চারের আগে।

মার-মার কাট-কাট ফরম্যাটের প্রথম বিশ্বকাপ ২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেই আসরে ২য় রাউন্ডেই বিদায় নিতে হয় প্রোটিয়াদের। গ্রুপ পর্ব থেকে সুপার এইটে উঠলেও সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিতে হয় শন পোলকদের।

২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের অবস্থাও ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার মতো। গ্রুপ পর্বে সেরা হয়ে সুপার এইটে ওঠার পর যেনো খেই হারায় থ্রি লায়ন্স। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা আর পরে উইন্ডিজের কাছে হেরে বিদায় নেয় ইংলিশরা।

২০১০ সালে টি-টোয়েন্টির ৩য় আসর বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। আগের পূর্বসুরী আয়োজকদের পথেই হাঁটে ক্যারিবীয়রা। গ্রুপ পর্বের দাপট আর ধরে রাখতে পারেনি সুপার এইটে।

২০১২ সালে ৪র্থ আসরে স্বাগতিকদের অপবাদ ঘোচায় লঙ্কানরা। যদিও গ্রুপ পর্বে তারা রানার্সআপ হয়ে সুপার এইটে ওঠে। এরপর সুপার এইটে উইন্ডিজ, ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে জায়গা করে নেয় সেমিফাইনালে। সেখানে পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেলেও ফাইনালে আর পেরে ওঠেনি শ্রীলঙ্কা। উইন্ডিজের কাছে ৩৬ রানের হারে লেখা হয়নি স্বাগতিকদের শিরোপা জয়ের রেকর্ড।

২০১৪ সালে আসর বসেছিলো বাংলাদেশে। সেবার টাইগারদের অবস্থাও ব্যতিক্রম ছিলো না। প্রথমবারের মতো সুপার টেন ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত আসরে বাংলাদেশের শঙ্কা জেগেছিলো বাছাইপর্ব থেকেই বিদায় নেবার। অবশ্য শেষ পর্যন্ত কোনোমতে সুপার টেনে উঠলেও সবকটি ম্যাচে হেরে বিদায় নেয় আয়োজক বাংলাদেশ।

২০১৮ সালে আয়োজক ভারত ছিল হট ফেভারিট। সুপার টেনের এক ম্যাচ বাদে বাকি খেলায় ছিল তাদের দাপুটে জয়। কিন্তু সেমিফাইনালে ক্যারিবীয়দের সামনে টিকতে পারেনি কোহলির দল। আয়োজকদের শিরোপার আক্ষেপ বাড়ে।

কোভিডের কারণে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া ২০২০ সালের টুর্নামেন্টটি ২০২১ সালে আয়োজন হয়। আসর বসে আরব আমিরাত আর ওমানে। আরব আমিরাত কোয়ালিফাই রাউন্ডে আসতে পারেনি আর ওমান বাদ পড়ে সুপার টেনের আগেই।

এবারের আসরে অজিদের নিয়ে ছিল বাড়তি সম্ভাবনা। সবশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোতে তারা ছিল অপ্রতিরোধ্য। ফর্মে ছিলেন দলের প্রায় সব ক্রিকেটারই। কিন্তু নিজেদের মাঠে নিজেদের আবহাওয়াই যেনো কাল হয়ে দাঁড়ালো ওয়ার্নারদের জন্য। ফরম্যাট পালটে এবারই প্রথম সুপার টুয়েলভ করা হয়। সেখানে প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হার পিছিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। এরপর শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড আর আফগানিস্তানকে হারালেও লাভ হয়নি। বৃষ্টির কারণে ইংল্যান্ডের সাথে ম্যাচটি বাতিল হওয়ায় আর রান রেটে পিছিয়ে পড়ায় সেমিফাইনালের আগে আরও একবার বিদায় নিলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply