পুলিশের প্রথম ‘আয়রনম্যান’

|

প্রথম আয়রনম্যান উপাধি অর্জন করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (রমনা বিভাগ) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কমিশনার মিশু বিশ্বাস। শনিবার (৫ নভেম্বর) মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে আয়রনম্যান উপাধি অর্জন করেন তিনি।

মালয়েশিয়ার লংকাউইতে প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আয়রনম্যান চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করেছেন মিশু বিশ্বাস। তিনি একজন অপেশাদার ক্রীড়াবিদ (ট্রায়াথলেট) হয়েও আয়রনম্যানের পূর্ণ দূরত্ব প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং প্রথম কোনো পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সফলভাবে সম্পন্ন করেন।

গত শনিবার সকালে শুরু হওয়া এই পূর্ণাঙ্গ আয়রনম্যান প্রতিযোগিতায় তাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার সাঁতার, ১৮০ কিলোমিটার সাইক্লিং এবং ৪২ দশমিক ২ কিলোমিটার দৌড় সম্পন্ন করতে হয়েছে। প্রতিযোগিতায় মিশু বিশ্বাস ১৩ ঘণ্টা ১৯ মিনিট ১৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে তা সম্পন্ন করেছেন।

সাঁতার, সাইক্লিং ও দৌড়ের সমন্বয়ে যে খেলা, সেটির নাম ট্রায়াথলন। পৃথিবীতে ট্রায়াথলনের সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগিতা হলো আয়রনম্যান। ট্রায়াথলেট বা ট্রায়াথলন ক্রীড়াবিদের জন্য কঠিনতম প্রতিযোগিতা আয়রনম্যান। দূরত্বের হিসাবে কয়েকটি সংস্করণে আয়রনম্যান প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে পৃথিবীর কয়েকটি দেশে।

পুলিশ কর্মকর্তা মিশু বিশ্বাস বলেন, এই পথচলা এতটা সহজ ছিল না। ব্যস্ত কর্মজীবনের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত সময় থেকে সপ্তাহে ১৫-১৬ ঘণ্টা ট্রেনিং করেছি। বার বার বাধা এসেছে, তারপরও আবার উঠে দাঁড়িয়েছি বলে আজকে সফল হয়েছি। দেশের জন্য এটি গৌরবের, আমার বাহিনীর জন্যও।

এর আগে ২০২০ সালে মিশু বিশ্বাস কক্সবাজারের টেকনাফের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন। মিশু বিশ্বাসই প্রথম পুলিশ কর্মকর্তা যিনি বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেয়ার গৌরব অর্জন করেন। মিশু বিশ্বাস ৩৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (রমনা বিভাগ) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, এবার এই মালয়েশিয়ার লংকাউইতে একটি পূর্ণ দূরত্বের, অপরটি অর্ধদূরত্বের (৭০ দশমিক ৩)। দুটি আয়রনম্যান প্রতিযোগিতায় ১১ জন বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদ (ট্রায়াথলেট) অংশ নেন। ১১ জনের সবাই আয়রনম্যান চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করেন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply