স্টাফ রিপোর্টার, যশোর:
যশোরে ‘পিয়াজ ও কাঁচা মরিচ চুরির অভিযোগে’ এক নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন ও চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার জহুরা ওরফে কুটি বেগম যশোর সদরের চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের দোগাছিয়া গ্রামের ভ্যানচালক সোহরাব হোসেনের স্ত্রী।
রোববার রাতে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির দোগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জহুরা ওরফে কুটি বেগম রোববার রাতে দোগাছিয়া গ্রামের মনছুরের বাড়িতে ‘তেল পড়া’ আনতে যান। এ সময় মনছুরের ছেলে দাবি করেন, কুটি বেগম তাদের রান্না ঘর থেকে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ চুরি করেছে। এরপর আলামিন ও জাহিদুলের ছেলে রিয়াদ হোসেন তাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে।
কুটি বেগমের স্বামী সোহরাব হোসেন জানান, তার স্ত্রীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারপিট করতে থাকে কয়েকজন। পরে তার মাথার চুল কেটে দেয় তারা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকে বেঁধে মারপিট করা হলেও তাকে উদ্ধারে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
কুটি বেগম আরও জানান, একই গ্রামের কলিম গাজীর ছেলে হারুন, তার স্ত্রী লাবনী বেগম, মুনছুর আলীর ছেলে আলামিন ও তার স্ত্রী কেয়া খাতুন, তার বড় ভাবি সীমা বেগম তাকে আটকে রেখে রাতভর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। পরে পাশের বাড়ির জাহিদুলের স্ত্রীর সহযোগিতায় তার মাথার চুল কেটে দেয় অভিযুক্তরা।
কুটি বেগমের ভাইপো দুলাল মিয়া বলেন, মিথ্যা চুরির অভিযোগ এনে অভিযুক্তরা আমার ফুফুকে যেভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মারপিট ও নির্যাতন করেছে তা অমানবিক। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সোমবার বিকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একজন মানুষ অপরাধ করলে তাকে পুলিশে সোপর্দ করতে পারতো। কিন্তু চুরির অভিযোগে একজন নরীর সাথে যা করা হয়েছে; তা জঘন্য।
সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সেলিম হোসেন জানান, ঘটনাটি জেনেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এসআই শারমিন আক্তার জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের আটকের জন্য পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।
ইউএইচ/
Leave a reply