শেরপুরে হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পেয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই চিকিৎসার জন্য ছুটছেন রোগীরা। চাপ বাড়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। সেবা দিতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক-নার্সদেরও। তবে, ডায়রিয়া প্রতিরোধে বিশুদ্ধ পানি এবং স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল ওয়ার্ডের শয্যা খালি না থাকায়, মেঝেতেই ঠাঁই হচ্ছে রোগীদের। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে থাকা ৮ বেডের বিপরীতে প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৪০ জন। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। ডায়রিয়ার পাশাপাশি বমি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা।
এ অবস্থার জন্য আবহাওয়া পরিবর্তন, পরিচ্ছন্নতার অভাব ও বাসি খাবার খাওয়াকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। ফলে স্যালাইন খাওয়ার পাশাপাশি পঁচা-বাসি খাবার এড়িয়ে চলা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ তাদের।
দায়িত্বরত নার্সরা জানান, সিস্টারের দরকার ছিল অন্তত ১০ জন। কিন্তু তারা আছেন ২ জন। আর রোগী দেড়শো জন। এতগুলো রোগীর সেবা দিতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শেরপুর সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন অন্তত ১০০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হাসপাতালে আসছেন। অস্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন, পঁচা-বাসি খাবার এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে ভাইরাসজনিত কারণে এই রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ হাজার ১৫০ জন ডায়রিয়া রোগী।
এএআর/
Leave a reply