নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে আদালতের নির্দেশে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক হওয়া বন্দুকধারীকে মামলার প্রধান আসামি করায়, একে উপহাস হিসেবে আখ্যা দিয়েছে পিটিআই। এদিকে, ইমরানের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েই তাকে হত্যার চেষ্টা করে শাহবাজ সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা। খবর এনডিটিভির।
লংমার্চে হামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ পিটিআইয়ের বেশ কয়েকজন নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের নিয়ে পাকিস্তানে চলছে নানান নাটকীয়তা। ঘটনার ৫ দিন পার হয়ে গেলেও এ নিয়ে কোনো মামলা দায়ের করেনি পিটিআই। তবে, সরকার ও সেনাবাহিনীকে দায়ী করে একের পর এক বক্তব্য দিয়ে গেছেন দলটির নেতারা।
এমন পরিস্থিতিতে, হামলার ঘটনা তদন্তে মামলার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত। তবে একে প্রহসন আখ্যা দিয়েছে পিটিআই। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মূল অপরাধীদেরই নাম নেই মামলায়। যদিও প্রশাসন বলছে, আইন চলবে তার নিজস্ব গতিতে।
পিটিআইয়ের সিনিয়র নেতা শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেন, মামলার এই কপি ফালতু এক টুকরো কাগজ ছাড়া আর কিছুই নয়। এমন মামলা করা হয়েছে যেখানে প্রধান অভিযুক্তদের নামই নেই। আসামি করা হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে আটক এক ব্যক্তিকে। কিন্তু হামলার পেছনে যারা মূল কলকাঠি নেড়েছেন তাদেরকেই আড়াল করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, আপনি চাইলেই যাকে ইচ্ছা তাকে অভিযুক্ত করতে পারেন না। আবার তার ওপর ভিত্তি করে বিচারের জন্য চাপও দিচ্ছেন! নিশ্চয়ই পিটিআই এর আবদারের ভিত্তিতে কোনো আইনি প্রক্রিয়া চলবে না। প্রতিটি আইনি ইস্যুর নিজস্ব গতি এবং প্রক্রিয়া রয়েছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করতে ব্যর্থ হয়েই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে প্রশাসন।
ওই সাক্ষাৎকারে পিটিআই নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, প্রথমে দেশজুড়ে বিক্ষোভ, এরপর পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের নাটক করেও যখন আমাকে ঠেকানো যায়নি। তখন ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হলো। এরপর নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে আমাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলো। তবুও আমি না থামায়, আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে শাহবাজ প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) পাঞ্জাবে লংমার্চ চলাকালেই ইমরান খানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
/এসএইচ
Leave a reply