চট্টগ্রাম ব্যুরো:
৫২ হাজার ৫০০ টন গম নিয়ে ইউক্রেন থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে এসে পৌঁছেছে এমভি ম্যাগনাম ফরচুন একটি জাহাজ। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সরকার টু সরকার (জিটুজি) চুক্তির আওতায় কেনা এসব গম দেশে এসে পৌঁছায়। গম খালাসে ইতোমধ্যে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে। কাজ করছে বন্দর ও কাস্টমসও।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে গমের জাহাজ হ্যান্ডলিংকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এর আগেও বিভিন্ন দেশ থেকে গম এসেছে। সর্বশেষ মিশর হয়ে এলো এমভি ম্যাগনাম ফরচুন। আরও গমবাহী কয়েকটি বড় জাহাজ পাইপলাইনে রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (সংরক্ষণ ও চলাচল) মো. আবদুল কাদির বলেন, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পেলেই বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজ থেকে গম খালাস করবে লাইটার জাহাজ। একেকটি লাইটার জাহাজ ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টন গম নিয়ে আসবে পতেঙ্গার সাইলো জেটিতে। সেখান থেকে ট্রাকযোগে সারা দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়া থেকে কয়েকদিন আগে ৪৯ হাজার ৪০০ টন গম নিয়ে আরেকটি জাহাজ এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। সেই গমের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। খালাসের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এর আগেও বুলগেরিয়া থেকে এসেছে আরেকটি গমের জাহাজ। আগামী সপ্তাহে রাশিয়া থেকে ৫৪ হাজার টন গম নিয়ে আসবে আরেকটি জাহাজ। এভাবে গম আসতে থাকলে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ চেইন গড়ে উঠবে।
খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আমদানিকারক জানান, বাংলাদেশে চালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চাহিদার খাদ্যশস্য হচ্ছে গম। গম থেকে তৈরি আটা, ময়দা দিয়ে রুটি, পাউরুটি, বিস্কুট থেকে শুরু করে অনেক ধরনের খাদ্যপণ্য তৈরি করা হয়। রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে বেশি গম আমদানি করে বাংলাদেশ। যুদ্ধের কারণে গম আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বাজারে। দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকে আটা ময়দার।
তারা আরও জানান, এভাবে দেশে গমের সরবরাহ বাড়লে স্থিতিশীল হবে বাজার। দ্রুত এসব গম খালাস ও সরবরাহের দাবি তাদের।
এটিএম/
Leave a reply