ইসির ক্ষমতা বাড়াতে আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব, সাড়া নেই আইন বিভাগের

|

ফাইল ছবি

নির্বাচনে অনিয়ম বন্ধে ইসির উদ্যোগে সাড়া মিলছে না আইন মন্ত্রণালয়ের। ইসির ক্ষমতা বাড়াতে আরপিও সংশোধনী প্রস্তাব পাঠানো হলেও নীরব আইন বিভাগ। অগ্রগতি জানতে দুই দফা দেয়া চিঠিরও মেলেনি কোনো জবাব। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আবারও চিঠি দেবেন তারা। সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে সংশোধনী জরুরি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা।

ভোটের মাঠে অসম প্রতিযোগিতা, নির্বাচনে এজেন্ট ঢুকতে না দেয়া ও প্রিজাইডিং অফিসারকে তোয়াক্কা না করে জাল ভোটের অহরহ অভিযোগ আমলে নিয়ে ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান কমিশন। শাস্তির বিধান যুক্ত করে গেলো ৮ আগস্ট আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব পাঠিয়েছে ইসি। প্রিজাইডিং অফিসারের ভোট বন্ধের ক্ষমতা ও গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্ব পালনের সুরক্ষাও আছে ইসির প্রস্তাবে।

এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, এটা হলে নির্বাচন অবশ্যই সুন্দরভাবে করা যাবে। নির্বাচন আরও সুষ্ঠুভাবে করার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। আইনগুলো যদি প্রয়োগ করা যায় তাহলে নির্বাচন নিয়ে যতো কথা, নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে যে এতো অনাস্থা, এগুলোকে আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবো।

তিন মাস আগে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবের সাড়া মেলেনি। এরপর অগ্রগতি জানতে চেয়ে দুই দফা চিঠিরও উত্তর পায়নি নির্বাচন কমিশন। তাই এবার আরো একদফা চিঠি দিতে যাচ্ছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা ঠিক করেছি যে খুব সহসাই আরেকটা রিমাইন্ডার আমরা দিবো। থার্ড রিমাইন্ডার দেয়া পর্যন্ত একটা ব্যাপার আমরা হাইকোর্টেও দেখেছি। প্রয়োজনে আমরা আলোচনা করে দেখবো যে আমরা কোন পথে যেতে পারি। আইনের বিধানের মধ্যে থেকে কোন পথে এগোলে আমাদের কাজ হয় আমরা সেটা অবশ্যই দেখবো।

আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব আইনমন্ত্রনালয় ও মন্ত্রিসভা হয়ে জাতীয় সংসদে পাঠাতে হবে অনুমোদনের জন্য।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, এটা তাদেরকে জানাতেই হবে। এটা জানানোটাই নিয়ম। হোক বা না হোক একটা ফল আমরা নিশ্চয়ই পাবো।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply