রাশিয়ার ১৪ ব্যক্তি ও ২৮ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করছে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম উল্লেখ না করলেও কোন কোন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এ তালিকায় রয়েছে তা মঙ্গলবার বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ সম্মেলনে দেয়া এক বক্তব্যে এসব তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন।
ইয়েলেন বলেন, রাশিয়ার তরফ থেকে যুদ্ধ আরও দীর্ঘ করার পরিকল্পনা ব্যাহত এবং দেশটিতে অস্ত্র রফতানি নিয়ন্ত্রণ করতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় বিষয় হলো যুদ্ধের অবসান ঘটানো। যুদ্ধ সমাপ্ত ঘোষণা করা রাশিয়ার নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট ইউক্রেনে অর্থ সহায়তা অব্যাহত রাখবে জানিয়ে জ্যানেট ইয়েলেন আরও বলেন, এরই মধ্যে ইউক্রেনের নিরাপত্তা সহায়তা বাবদ এক হাজার ৯০০ কোটি ডলারের সাথে আরও সাড়ে ৪০০ কোটি ডলারের বেসামরিক সহায়তার বিষয়টি কংগ্রেসের অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করেছে বাইডেন প্রশাসন।
সম্প্রতি ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, যদি দখলকৃত জায়গাগুলো ফিরে পাওয়া যায় এবং ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি এ যুদ্ধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত হয়, তাহলে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে রাজি আছেন।
উল্লেখ্য, যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। পুতিন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে অস্ত্র সরবরাহকারী বিভিন্ন কোম্পানি এবং অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানও।
এএআর/
Leave a reply