তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগরসহ বেশ কিছু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, তখনই বালিতে মুখোমুখি দু’দেশের প্রেসিডেন্ট। জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের ঠিক আগেরদিন অনুষ্ঠিত হলো বহুল প্রতীক্ষিত এ শীর্ষ বৈঠক। খবর সিএনএনের।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে জানা গেছে, উত্তেজনা বা টানাপোড়েন থাকলেও, হুট করে কোনো সংঘাতে জড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠকে যেকোনো মূল্যে সংঘাত এড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন দুই দেশের প্রেসিডেন্ট। বৈঠকে তাইওয়ানসহ নানা ইস্যুতে দীর্ঘ সময় কথা বলেন বাইডেন ও শি জিনপিং। গুরুত্ব দেন কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর।
বৈঠকে স্বাভাবিকভাবেই আলোচিত হয়, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গ। শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় শীর্ষ ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেন জো বাইডেন। এ সময় ওয়াশিংটন-বেইজিং সংঘাত এড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ব্যক্তিগতভাবে চীনের সাথে যোগাযোগের পথ খোলা রাখতে চাই। নেতা হিসেবে আমাদের দায়িত্ব এটা বোঝানো যে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিভেদগুলোর সমাধান করতে পারে। সংঘাত এড়াতে ভূমিকা রাখতে পারে। বেইজিং চাইলে তেমন পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রস্তুত।
দীর্ঘ আলোচনায় ছিলো তাইওয়ান, হংকং, উত্তর কোরিয়াসহ আঞ্চলিক নানা প্রসঙ্গ। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক সঠিক পথে পরিচালনার কথা বলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক এমন পর্যায়ে আছে, যা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। ইতিহাস সবচেয়ে ভালো টেক্সটবই। অতীতের ভিত্তিতেই দুই দেশের সম্পর্ককে সঠিক পথে নিতে হবে। বিশ্ব শান্তি, আস্থা ও স্থিতিশীলতার জন্য আমাদের একসাথে কাজ করা উচিত।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ফোন বা ভিডিও কলে ৫ বার কথা বলেছেন, শি জিনপিংয়ের সাথে। তবে, মুখোমুখি আলোচনা এই প্রথম।
/এসএইচ
Leave a reply