দ. কোরিয়ায় শুরু বিশ্বের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা ‘সুনং’, বন্ধ বিমান চলাচলও

|

পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের ভিড়। ছবি: সংগৃহীত।

ভর্তিযুদ্ধ কমবেশি সব দেশের বিশ্ববিদ্যালয়েই হয়ে থাকে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার ভর্তি পরীক্ষা প্রতিবছরই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসে। এ বছর করোনা মহামারি ও হ্যালোইন প্যারেড ট্রাজেডির কারণে কঠোর বিধিনিষেধ মানতে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। টানা ৯ ঘণ্টার এ ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের জন্য প্রার্থনায় লিপ্ত হয়েছে গোটা দেশ। এ দিন দেশজুড়ে নিরবতা বজায় রাখতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ থাকে বিমান চলাচলও। খবর কোরিয়া টাইমসের।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা বা সুনং। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে ম্যারাথন পরীক্ষা। এ বছর পরীক্ষায় অংশ নেয় ৫০ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ থাকায় ২ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী আলাদা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের জন্য গোটা দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের শুভ কামনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধানও।

পরীক্ষার দিন সকালে অল্প কিছুক্ষণই সরগরম থাকে দক্ষিণ কোরিয়া। দিনের বাকি সময় দেশজুড়ে সুনসান নীরবতা বর্জায় রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়। নিরিবিলি পরিবেশ বজায় রাখতে পরীক্ষা শুরুর একঘণ্টা পর ব্যাংক, সরকারি দফতর ও পুঁজিবাজার কার্যক্রম শুরু করে। জরুরি নয় এমন সব দোকানপাটও বন্ধ থাকে এ দিন। ইংলিশ লিসেনিং টেস্ট চলাকালীন আধঘণ্টা দেশটিতে বিমান চলাচল বন্ধ থাকে। তাছাড়া পরীক্ষার দিন বিমান মহড়াও স্থগিত রাখে দেশটি। যাত্রীবাহী বিমান চললেও ১০ হাজার ফুট ওপর থেকে তা উড়াতে হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিযোগিতামূলক সমাজে সব শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। সুনং বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী গ্রহণ করে শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তাই পাঁচ বিষয়ে লিখিত, মৌখিক ও শ্রবণের দীর্ঘমেয়াদী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এ নিয়ে একজন পরীক্ষার্থীর বাবা কিম সেওং হো বলেন, সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। তাতে সন্তুষ্ট হলেও উদ্বেগ কাটছে না। ভালোভাবে সন্তানরা পরীক্ষা দিক এটাই প্রার্থনা। তাদের ভবিষ্যতের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাষ্ট্রের এসএটি, ফ্রান্সের বাকলোরিয়া এবং চীনের গাওকাও এর সমতুল্য হলো কোরিয়ার সুনং পরীক্ষা। কঠোর পদ্ধতি এবং দীর্ঘসময়ের জন্যই বিশ্বের সবচেয়ে ভীতিকর ভর্তিযুদ্ধ হিসেবে এটি পরিচিত। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণকারী এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে ৫ ডিসেম্বর।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply