ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন ঘিরে ছাত্র রাজনীতিতে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ৮ ডিসেম্বর। সেখানে কে সভাপতি হতে যাচ্ছেন কিংবা সাধারণ সম্পাদক পদে কে নির্বাচিত হবেন তা নিয়েই বেশি আলোচনা। নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে রীতিমতো। নেতা হওয়ার বয়সসীমা ২৯ বছর থাকবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কা-উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে অনেকের মাঝে। অবশ্য এখন পর্যন্ত বয়সসীমা শিথিলের বিষয়ে কিছুই খোলাসা করেননি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
কোভিড পরিস্থিতি এবং দীর্ঘ সাড়ে চার বছর সম্মেলন না হওয়ায় এবারের সম্মেলন ঘিরে উত্তেজনা ও আগ্রহের মাত্রা আরও বেশি। চায়ের কাপে ও আড্ডায়ও এখন আলোচনার মূল বিষয় ছাত্রলীগ সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের তালিকা বেশ বড়। অন্যদিকে সাবেক হওয়ার ক্ষণ গণনায় আছেন অনেকেই।
এবারের সম্মেলনে বয়সসীমা শিথিলের দাবি জানিয়েছেন অনেক নেতাই। তাদের মতে, সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে। তাই যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক নেতারই বয়সসীমা ২৯ বছর ছাড়িয়ে গেছে। ফলে এবারের সম্মেলনে নেতৃত্ব গঠনে বয়স সীমায় ছাড় দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন অনেক নেতাকর্মীরই।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন মাথায় রেখে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, পরিচ্ছন্ন, ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং এই দল ও দলের নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য এসব বিষয় বিবেচনা করেই আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।
জানা গেছে, শীর্ষ দুই পদে অন্তত ২০ জন নেতার সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা রয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে। ছাত্রলীগের বয়সসীমা কী হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নেতারা। সম্মেলনের দিনই তা জানা যাবে।
এসজেড/
Leave a reply