বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের প্রথম ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরে খেলবেন না হ্যারি কেইন। মিরর’এ প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আর্মব্যান্ড পড়ার কারণে অর্থদণ্ড দেয়ার ব্যাপারেও প্রস্তুত ছিল। কিন্তু ফিফার দেয়া হলুদ কার্ডের হুঁশিয়ারির মাঝে খেলোয়াড়দের না পাঠানোর জন্যই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। একই কারণে আরমব্যান্ড না পরার কথা জানিয়েছে ওয়েলসও।
কাতারের সমকামিতা নিষিদ্ধ হওয়ায় বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মতামতকে প্রচারের উদ্দেশ্যে বেশ আগেই রেইনবো বা, ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড পরার পরিকল্পনা করেছিল ওয়েলস, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, জার্মানি, সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের সাতটি দেশের অধিনায়করা। তবে সোমবার (২১ নভেম্বর) ইংল্যান্ড ফুটবল ফেডারেশন (এফএ) তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তারা। সেখানে বলা হয়, ফিফা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছে যে, মাঠে ওয়ান লাভ আর্মব্যান্ড পরলে কার্ড দেখতে হতে পারে অধিনায়ককে। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের এমন কোনো অবস্থানে ঠেলে নিতে পারি না যাতে তাদের কার্ড দেখতে হয়। তাই আমাদের অধিনায়ককে বলবো ফিফা বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে এই আর্মব্যান্ড যেন না পরা হয়।
এফএ আরও বলে, আর্মব্যান্ড পরার মানে নিজেদের অবস্থানের শক্তভাবে থাকা। এই অবস্থান নিতে গিয়ে অর্থদণ্ড দেয়ার ব্যাপারেও আমরা প্রস্তুত ছিলাম। তবে আমরা চাই না খেলোয়াড়দের এমন জায়গায় নিয়ে যেতে যেখানে তাদেরকে মাঠে কার্ড দেখানো হয় কিংবা, মাঠ ছেড়ে যাওয়ার মতো ক্ষেত্র তৈরি হয়। তবে ফিফার এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আমরা হতাশ। এটা অভূতপূর্ব। গত সেপ্টেম্বরেই এই আর্মব্যান্ড পরিধানের ইচ্ছের কথা জানিয়ে আমরা ফিফার কাছে চিঠি দিয়েছি। তবে তার কোনো সাড়া পাইনি। এ অবস্থায় আমাদের খেলোয়াড় এবং কোচ হতাশ। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রচারণার সমর্থক তারা। আর এটার প্রদর্শন মাঠেই দেখাতে চেয়েছিল ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ড-ইরান ম্যাচ: আলো কাড়তে পারেন যারা
/এম ই
Leave a reply