আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে রাতারাতি তারকা হয়ে গেছেন সৌদি আরবের কোচ হার্ভে রেনার্ড। ফরাসি এই কোচের ক্যারিয়ার বেশ বর্ণিল। এক সময় কাজ করেছেন ঝাড়ুদার হিসেবে। এরপর প্রথম কোচ হিসেবে আফ্রিকার দুই দেশের হয়ে জিতেছেন নেশনস কাপের ট্রফি। তার অধীনেই রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করে মরক্কো। হারভে রেনার্ডের উত্থানের গল্প অনেকটাই সিনেমার গল্পের মতো।
১৯৬৮ সালে ফ্রান্সে জন্ম নেন রেনার্ড। ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ার ছিল খুবই সাদামাটা। খেলেছেন ফ্রান্সের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ক্লাবে। জীবিকার তাগিদে এক সময় কাজ করেছেন ঝাড়ুদার হিসেবেও। পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন খেলা। তবে মাত্র ৭ বছরেই খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টেনে কোচিংয়ের সাথে যুক্ত হন রেনার্ড।
ক্লাব ফুটবল দিয়ে শুরু হয় ক্যারিয়ার। ফ্রান্সের ক্লাব এসসি দ্রাগিনিয়ানের কোচ হিসেবে শুরু নতুন পথচলা। এরপর ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দল ক্যাম্পব্রিজসহ বেশ কয়েকটি ক্লাবে কাজ করলেও সাফল্য আসেনি। ২০০৮ সালে জাম্বিয়া জাতীয় দলের কোচ হন রেনার্ড। ২০১০ সালে দায়িত্ব নেন অ্যাঙ্গোলার।
তবে সাফল্য আসে জাম্বিয়ার হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১১ সালে দায়িত্ব নিয়ে। তার অধীনেই প্রথমবার আফ্রিকান নেশনস কাপের শিরোপা জেতে জাম্বিয়া। ২০১৪ সালে আইভরি কোস্টের কোচের দায়িত্ব নেন রেনার্ড। পরের বছর আফ্রিকার শ্রেষ্ঠত্বের মসনদে বসে দেশটি। প্রথম কোচ হিসেবে দুই দেশের হয়ে নেশনস কাপ জয়ের কীর্তি গড়েন এই ফরাসি।
এরপর ফ্রান্সের ক্লাব লিলের দায়িত্ব নিলেও সফল হননি রেনার্ড। আবারও ফেরেন জাতীয় দলে, এবার দায়িত্ব নেন মরক্কোর। তার অধীনেই ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলে আফ্রিকার দেশটি। ২০১৯ সালে মরক্কোর দায়িত্ব ছাড়েন। এরপর নেন সৌদি আরবের দায়িত্ব। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়ে আবারও আলোচনায় হার্ভে রেনার্ড।
এবার দেখার পালা সৌদি আরব, রেনার্ড জুটির পথচলা কত দূর যায় বিশ্বকাপে। তবে হার্ভে কেবল সৌদি নয়, স্বপ্ন দেখাচ্ছেন আর্জেন্টিনাকেও। কারণ এই ফরাসি বলেছেন, গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়ে নাকি বিশ্বকাপটাও জিতবে মেসির দল।
আরও পড়ুন: ভিএআর এর ভুলে ম্যাচ হারার দাবি করে আর্জেন্টিনা ফুটবল টিমের ফ্যানপেজে আফসোস
/এম ই
Leave a reply