হিমোফিলিয়া রোগের এক ডোজ ওষুধের দাম ৩৫ কোটি টাকা!

|

ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে দামি ওষুধের অনুমোদন মিলেছে। যার এক ডোজের দাম ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৩৫ কোটি ৭১ লাখ। জটিল ও বিরল রোগের ওষুধ প্রস্তুতকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান সিএসএল বেহরিংয়ের উদ্ভাবিত হিমোফিলিয়া বি জিন থেরাপির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন নিয়ন্ত্রকরা। খবর ব্লুমবার্গ ও দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’র।

খবরে বলা হয়েছে, এই ওষুধের মাত্র এক ডোজ নিলেই হিমোফিলিয়া রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন। আক্রান্ত রোগীর শরীরে একবার প্রয়োগে এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে ৫৪ শতাংশ রক্তপাত হ্রাস করতে পারে ওষুধটি।

গবেষণায় দেখা গেছে, ওষুধটি ফ্যাক্টর আইএক্সের সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল ইনফিউশন থেকে ৯৪ শতাংশ রোগীকে মুক্ত করেছে। বর্তমানে হিমোফিলিয়ার রোগীদের সম্ভাব্য আশঙ্কাজনক অবস্থা নিয়ন্ত্রণে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।

প্রস্তুতকারী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রত্যাশার চেয়ে ওষুধটির মূল্য একটু বেশি হলেও আমরা মনে করি, এটির সফল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ব্যয়বহুল ওষুধের মধ্যে এর আগে ২০১৯ সালে শিশুদের মেরুদণ্ডের ক্ষয়রোগের চিকিৎসার জন্য সুইস-মার্কিন ওষুধ কোম্পানি নোভার্টিস এজির জোলগেন্সমা নামের একটি ওষুধের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। যার দাম ২১ লাখ মার্কিন ডলার; যা বাংলাদেশি টাকায় ২১ কোটি ৪৩ লাখ। এছাড়া চলতি বছরের শুরুর দিকে থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসায় ব্লুবার্ড বায়ো ইনক’র তৈরি জিনটেগ্লো ওষুধের দাম ছিল ২৮ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৯ কোটি।

ইউনিকিউরের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে প্রায় দেড় কোটির বেশি মানুষ হিমোফিলিয়া বি রোগে আক্রান্ত। বি’র তুলনায় হিমোফিলিয়া এ-তে আক্রান্ত রোগী প্রায় পাঁচগুণ বেশি।

উল্লেখ্য, হিমোফিলিয়া এক ধরনের রক্তক্ষরণজনিত রোগ; যা বংশানুক্রমে বাহিত হয়। শরীরের কোনো স্থানে কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য একাধিক ফ্যাক্টর বা উৎপাদক কাজ করে। এরমধ্যে বিশেষ দু’টি উপাদানের উৎপাদনের মাত্রা হ্রাস পেলে রক্ত জমাট বাধতে সমস্যা হয়। এই পরিস্থিতিতে একেবারে হালকা আঘাতে অথবা বিনা কারণেও রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে; যাকে হিমোফিলিয়া বলা হয়।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply