বর্ণবাদী ও বিশেষ প্রাণীকে হেয় করা হয় উল্লেখ করে মাঙ্কিপক্সের নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘এম-পক্স’। সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম এই ঘোষণা দেন। খবর সিএনবিসির।
খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনার পর নতুন নামকরণ হয়েছে। তবে, অভ্যস্ত হওয়ার জন্য আগামী একবছর দুটি নামই ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
জানা গেছে, চলতি বছর ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের ২৯ দেশে মাঙ্কিপক্স বা এম-পক্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এতে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জুলাই মাসে ‘বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পরে টিকা দেয়া শুরু হলে সংক্রমণ কমতে থাকে। সে সময় মাঙ্কিপক্স নামটি প্রচুর ব্যবহার হয়। তবে মাঙ্কিপক্স শব্দটি বর্ণবাদী এবং বিশেষ প্রাণীকে হেয় করার উদ্দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে এমন অভিযোগে ভাইরাসটির নাম পরিবর্তনের দাবি করে বিভিন্ন মহল। সেই দাবি বিবেচনায় নিয়েই নতুন নামকরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মানবদেহে সর্বপ্রথম ১৯৭০ সালে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর দশ বছর আগে বানরের শরীরে ভাইরাসটির দেখা মেলে। ফলে, ভাইরাসটির নাম রাখা হয়েছিল মাঙ্কিপক্স।
এএআর/ইউএইচ/
Leave a reply