পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে সংঘাত ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। এমন হুঁশিয়ারী দিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইউক্রেনের আড়ালে মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর সাথেই লড়ছে রাশিয়া এমন দাবিও করেন ল্যাভরভ। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারী বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ইউক্রেন দখলে নিতে পারবে না রুশ বাহিনী। বাধ্য হয়েই কিয়েভকে অস্ত্র সহায়তা করা হচ্ছে বলেও জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রুশ সেনা অবস্থান লক্ষ্য করে চলছে ইউক্রেনীয় বাহিনীর মর্টার হামলা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া এসব মর্টারের মুহুর্মুহু আক্রমণে নাজেহাল রুশ বাহিনী। কিয়েভ বলছে, নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে রুশ বিরোধী লড়াইয়ের ছক। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে।
এ বিষয়ে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি শক্তি নিয়ে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। রুশ দখলকৃত এলাকাগুলো উদ্ধারে লড়াই চলছে। এর পাশাপাশি কিভাবে নতুন করে চালানো রুশ হামলা ঠেকানো যায় সে বিষয়েও আমরা প্রস্তুত আছি। বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার জন্য আমরা বেশি জোর দিচ্ছি।
এদিকে পরমাণু সংঘাত ইস্যুতে আবারও সতর্ক করলো মস্কো। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইউক্রেনের সাথে লড়াই হলেও এ যুদ্ধ মূলত রাশিয়ার সাথে পশ্চিমা দেশগুলোর। পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে এ ধরণের লড়াই মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি জানান ল্যাভরভ।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের দাবি রাশিয়ার কারণেই ভেস্তে গেছে আলোচনার উদ্যোগ। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে কোনোভাবেই ইউক্রেনকে দখল করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারী দেন তিনি।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, আমরাও মনে করি কূটনৈতিক প্রচেষ্টাই এই যুদ্ধ বন্ধের সবচেয়ে কার্যকর পন্থা। কিন্তু মস্কোর পক্ষ থেকেই এ বিষয়ে সাড়া দেয়ার কোনো আগ্রহ নেই। আমরা বাধ্য হয়েই কিয়েভকে অস্ত্র সহায়তা করছি। পুতিন এবার ইউক্রেনের বিদ্যুতকেন্দ্রগুলোকে হামলার লক্ষ্যে পরিণত করেছেন। ফলে তীব্র শীতের মধ্যে অমানবিক দুর্ভোগে পড়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধরা। যদি রুশ প্রেসিডেন্ট মনে করে থাকেন যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে তিনি সফলতা পাবেন তাহলে চরম ভুলের মধ্যে রয়েছেন তিনি।
এটিএম/
Leave a reply