বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হয়েছিল মরক্কো ও কানাডা। ম্যাচের শুরুতেই হাকিম জিয়েচের গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো। এরপর ২৩ মিনিটে নাসিরির গোলে লিড বাড়ায় তারা। ম্যাচের ৪০ মিনিটে মরক্কান ডিফেন্ডার নায়েফ আগুয়ের্দের ভুলে পাওয়া আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায় কানাডা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ শেষ হয় ২-১ গোল ব্যবধানেই। এরমাধ্যমে, ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের নক আউট রাউন্ডে গেলো মরক্কো। এর আগে, সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপের নকআউট রাউন্ডে খেলেছিল তারা।
ম্যাচের শুরু থেকেই কানাডাকে চাপে রেখেছিল মরক্কো। আর দুর্দমনীয় প্রেসিংয়ের সুফলও তারা পায় শুরুতেই। ৪ মিনিটে মরক্কোকে লিড এনে দেন হাকিম জিয়েচ। কানাডার ডিফেন্ডারদের ভুলের সুযোগ নিয়ে দর্শনীয় এক চিপে গোলরক্ষক মিলান বোরহানকে পরাস্ত করে মরক্কানদের ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি।
এরপর, ২৩ মিনিটে কানাডার গোলপোস্টের কাছেই খুবই সিম্পল একটি থ্রু বল এন নাসিরিকে এগিয়ে দেন আশরাফ হাকিমি। সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে মোটেও ভুল করেননি নাসিরি। এতে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো। নাসিরি মরক্কোর প্রথম ফুটবলার যিনি পরপর দু’টি বিশ্বকাপে গোল পেলেন।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ক্রমেই ছন্দ হারাতে থাকে কানাডা। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়েই ছিল তারা। পুরো ম্যাচে ৫৯ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেও মরক্কোর গোলমুখে কোনো শট নিতে পারেনি তারা। অপরদিকে, ম্যাচের ৪১ শতাংশ বল দখলে রাখা মরক্কো কানাডার গোলমুখে শট নিয়ে মোটে ৬টি; যার মধ্যে অন টার্গেট ছিল দু’টি।
তবে ম্যাচের ৪০ মিনিটে মরক্কান আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে ফেরার প্রয়াস পায় কানাডা। এটি ছিল কাতার বিশ্বকাপের ১০০তম গোল এবং বিশ্বকাপের এবারের আসরের প্রথম আত্মঘাতী গোল। বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ২-১ গোল ব্যবধানে প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ম্যাচে ফেরার চেষ্টা অব্যাহত রাখে কানাডা। ৭১ মিনিটে আলফনসো ডেভিসের নেয়া ফ্রি কিক ক্রসবারে লাগলে নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হয় কানাডা। এরপর বেশ কয়েকবার আক্রমণ সাজালেও সাফল্য পায়নি তারা। অপরদিকে, মরক্কো বাকি সময়ে গোল দিতে না পারায় ম্যাচ শেষ হয় ২-১ ব্যবধানে।
/এসএইচ
Leave a reply