গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ৯ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান মাস্টার মাইন্ড তিতে। এরপর ম্যাচে সাইড বেঞ্চের থেকে আরও ৫ জনকে বদলি নামিয়ে শেষ পর্যন্ত গ্রুপ পর্বের ৩ ম্যাচে ২৫ জন ফুটবলারকে পরখ করে দেখেছিলেন। বিশ্বকাপের মত আসরে কোন দলই এর আগে স্কোয়াডের সবাইকে খেলিয়েছে কি না তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় তর্ক-বিতর্ক।
এরপর, গোটা স্কোয়াডের মধ্যে বাকি ছিলেন কেবল দলের ৩য় গোলরক্ষক ওয়েভারটন। পালমেইরাসের এই গোলরক্ষকের খেলা নিয়ে শঙ্কা ছিলো। কারণ এরপর আর কোন দলই সহজ প্রতিপক্ষ না। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে প্রথমার্ধে চার গোলের লিড নিয়ে জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলে ব্রাজিল। অপরদিকে সবাই খেলবে আর এক ওয়েভারটন বসে থাকবে তা কি হয়।
ম্যাচের ৮০ মিনিটে দলের জয় যখন অনেকটাই নিশ্চিত তখন এক নম্বর গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারকে উঠিয়ে ওয়েভারটনকে নামিয়ে অনন্য এক রেকর্ড গড়লেন তিতে। চার ম্যাচে ২৬ জন ফুটবলার মাঠে নেমেছেন ব্রাজিলের জার্সি গায়ে। স্কোয়াডের সবাইকে খেলতে দেয়ার সুযোগ আগে কখনই দেখা যায়নি বিশ্বকাপের মত মঞ্চে।
আর এজন্যই, বিশ্বকাপ সেলেসাওদের হাতে উঠলে তারা বলতেই পারবে, হেক্সা মিশনে দলের প্রতিটি সদস্যের অবদান ছিলো।
/এএইচ
Leave a reply