নকআউট পর্বে ম্যাচের প্রথমার্ধে গঞ্জালো রামোস ও পেপের লক্ষ্যভেদে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে গেছে পর্তুগাল। সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঝমাঠ এবং আক্রমণে দারুণ সামঞ্জস্য রেখে ম্যাচে প্রভাব করছে ফার্নান্দো সান্তোস শিষ্যরা।
কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন দলের মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে বেঞ্চে বসিয়ে। কাঁধে ছিল পর্তুগালের জার্সিতে জীবনে প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে মাঠে নেমে রোনালদোর বিশাল অস্তিত্বকে ভরাট করার পাহাড়সম দায়িত্ব। সেটা কী দারুণভাবেই না করলেন গনসালো রামোস! বাঁ পায়ের এক স্বপ্নের গোলে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নকআউট ম্যাচে পর্তুগালকে ১-০ গোলে এগিয়ে দিয়েছেন বেনফিকার এই স্ট্রাইকার।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে হোয়াও ফেলিক্সের কাছ থেকে ডি বক্সের বামপ্রান্তে যখন তিনি বল পেলেন, তখনও কোনো ঘটনারই আভাষ পাওয়া যাচ্ছিল না। পেছনে ছিলেন সুইস ডিফেন্ডার শার। এমন সময়েই বাম পায়ে বলটাকে এগিয়ে নিয়ে বক্সের সাথে দুরূহ কোণ থেকে যে আগুনে গোলাটি ছুঁড়লেন এই ২১ বছর বয়সী স্ট্রাইকার, ইয়ান সমারের ডান পাশ দিয়ে গতি এবং সূক্ষতম কোণের হিসাব জয় করে তা জড়িয়ে যায় সুইজারল্যান্ডের জালে।
এরপর, ৩২ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেসের করা কর্নার থেকে আসা বলে মাথা লাগিয়ে আরেক দফা পর্তুগিজদের এগিয়ে দেন পেপে। আর, এ গোলের মাধ্যমে রজার মিলার পর সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে গোলের রেকর্ড গড়লেন অভিজ্ঞ এ পর্তুগিজ ডিফেন্ডার।
/এসএইচ
Leave a reply