কোয়ার্টার ফাইনালে কোন ক্লাবের কত ফুটবলার টিকে রইলো?

|

কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগে ক্লাব ফুটবলারদের প্রতিনিধিত্বের দিক থেকে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন মিউনিখ। কিন্তু যতই সময় ঘনিয়ে আসছে ফাইনালের, পালটে যাচ্ছে ক্লাবগুলোর বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করা ফুটবলারের সংখ্যা।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১৬ জনে শুরু, টিকে আছে ১৩ জন:
সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। লিগে হতশ্রী পারফর্ম করে টেবিলের অনেকটাই নিচে নেমে যাওয়া রেড ডেভিল ডেরা থেকে বিশ্ব আসরে এসে মাতাচ্ছেন ফুটবলাররা। শুরুর আগে ১৬ জন থাকলেও ডেনমার্কের এরিকসন, উরুগুয়ের পেলিস্টি আর তিউনিসিয়ার মেজব্রি বিদায় নিলেও আরও ১৩ জন রয়ে গেছেন বিশ্বকাপে। যেখানে ব্রাজিলের রয়েছেন অ্যান্টোনি, ক্যাসেমিরো, ফ্রেড, অ্যালেক্স টেলেস। ফ্রান্সের রাফায়েল ভারানে, ইংল্যান্ডের হ্যারি ম্যাগুয়ের, লুক শ, মার্কোস রাশফোর্ড। নেদারল্যান্ডসের টিরেল মালাসিয়া। আর্জেন্টিনার লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। পর্তুগালের রয়েছেন দিয়াগো দালোত, ব্রুনো ফার্নান্দেস আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে এরই মধ্যে রোনালদোর চলে যাবার কথা উঠলেও কাগজে কলমে সিআর সেভেন এখনো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফুটবলার।

ম্যানচেস্টার সিটি ১৫ জনে শুরু, টিকে আছে ১০ জন:
ইউনাইটেডের থেকে ১ ফুটবলার কমে ১৫ জন প্রতিনিধিত্ব শুরু করে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটি। তবে শেষ আটের লড়াইয়ে ক্লাবটি থেকে টিকে আছেন ১০ ফুটবলার। সুইজারল্যান্ডের ম্যানুয়েল আকানজি, বেলজিয়ামের কেভিন ডি ব্রুইনা, জার্মানির ইকায় গুন্ডুগান, আর স্পেনের এমিরিক লাপোর্তা ও রদ্রি বিদায় নিয়েছে। বিশ্বকাপে টিকে থাকা ১০ জন ফুটবলার হলেন ব্রাজিলের অ্যাডারসন, ইংল্যান্ডের জন স্টোনস, কাইল ওয়াকার, কালভিন ফিলিপস, ফিল ফোডেন, জ্যাক গ্রিলিশ। পর্তুগালের জোয়াও ক্যানসেলো, রুবেন ডিয়াস, বের্নার্দো সিলভা। আর নেদারল্যান্ডসের নাথান আকে।

পিএসজির ৮ জন
বিশ্বকাপ শুরুর দিকে ক্লাবটির খুব বেশি প্রতিনিধি ছিল না বিভিন্ন দেশে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে আসতেই আলো ফুটতে শুরু করে ক্লাবটিতে। ব্রাজিলের নেইমার, মার্কুইনহোসের সাথে আছেন আর্জেন্টিনার মেসি আর ফ্রান্সের এমবাপ্পে। প্রথমবারের মতো দেশকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলা আশরাফ হাকিমি আছেন শেষ আট দলে। আর পর্তুগালের ভিতিনহা, দানিলো পেরেরা ও নুনো মেন্ডিসকে সাথে নিয়ে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের ৮ প্রতিনিধি এখন পর্যন্ত রয়েছে এবারের আসরে।

বায়ার্ন মিউনিখ ১৭ জনে শুরু, টিকে আছে ৭ জন:
এরপরের অবস্থানে রয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। ১৭ জন নিয়ে শুরু করা বাভারিয়ানদের এখন প্রতিনিধি টিকে আছে মাত্র ৭ জন। জার্মানির বিদায়ে এই ক্লাবের ৭ জন ফুটবলারের বিদায় নিশ্চিত হয়। সাথে বিদায় নিয়েছেন সেনেগালের সাদিও মানে, কানাডার আলফোনসো ডেভিস আর ক্যামেরুনের এরিক ম্যাক্সিম। তবে টিকে আছেন ফ্রান্সের কিংসলে কোম্যান, বেনজামিন পাভাড, লুকাস হের্নান্দেজ আর ডেউ পামিকানো। আছেন নেদারল্যান্ডসের ম্যাথিস ডি লাইট। মরক্কোর নোউসারি মাজরাউই আর ক্রোয়েশিয়ার জোসিপ স্টানিসিচ।

রিয়াল মাদ্রিদ ১৩ জনে শুরু, টিকে আছে ৭ জন:
লস-ব্লাঙ্কোদের থেকে সর্বোচ্চ ফুটবলার ছিল ব্রাজিল আর ফ্রান্স দলে। বেলজিয়াম, স্পেন ও জার্মানির বিদায়ে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে কর্তোয়া, হ্যাজার্ড, কারভাহাল ও অ্যাসেনসিওদের। সাথে উরুগুয়ের ভালভার্দেও টিকে নেই এবারের আসরে। রিয়ালে খেলা যাদের বিশ্বকাপ সম্ভাবনা এখনো রয়েছে তারা হলেন- ব্রাজিলের ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রদ্রিগো, এডার মিলিতাও। ফ্রান্সের চুয়ামেনি, এডুয়ার্ডো ক্যামেভিঙ্গা আর ক্রোয়েশিয়ার লুকা মদ্রিচের। তবে বেনজেমার দেশ এখনও টিকে থাকলেও ইনজুরিতে তিনি আছেন বাইরে।

বার্সেলোনা ১৬ জনে শুরু, টিকে আছে ৫ জন:
স্পেনের বিদায়ের পর বার্সার বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব কমে যায় সবচেয়ে বেশি। এরিক গার্সিয়া, জর্ডি আলবা, পেদ্রি, বুসকাটস, আনসু ফাতি, ফেরান তোরেসদের সাথে উরুগুয়ের রোনাল্ড আরাউজো, জার্মানির টের স্টেগেন আর পোল্যান্ডের লেভানডোভস্কিদের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন মাত্র ক্লাবটির ৫ জন ফুটবলার রয়েছেন বিশ্বকাপে। ফ্রান্সের জুলস কুন্ড আর ডেম্বেলের সাথে আছেন দুই ডাচ ফুটবলার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং-মেমফিস ডিপাই আর ব্রাজিলের রাফিনহা।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply