মাত্র তিন মিনিটের আক্ষেপ। যে আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে ব্রাজিলকে, যে আক্ষেপে পুড়েছেন নেইমারও। ব্রাজিলের সাথে সাথে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে এই তারকারও।
ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ৭৭ গোল নিয়ে ব্রাজিলের হয়ে পেলের সমান গোল এখন নেইমারের। রেকর্ড ছোয়ার দিনে মুখে হাসির রেখাটা নেই, মলিন মুখে বিদায় বেলাটা ম্লান হয়ে গেলো স্রেফ ৩ মিনিটের আক্ষেপে।
ম্যাচ শেষে রেফারির হুইসেল বাজতেই মাঠে অশ্রুসিক্ত ব্রাজিলিয়ানরা। সেলেসাওদের কান্নার মাঝেও ক্যামেরার লেন্স ঘুরে অন্যদিকে। ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার ইভান পেরিসিচের ছেলে ছুটে আসে নেইমারের কাছে। নিজের হাত বাড়িয়ে দেয় নেইমারের দিকে। দেখে মনে হচ্ছিল নেইমারকে কিছু বলছিল পেরিসিচের ছেলে। দেয় সান্ত্বনা। নেইমারও তাকে কাছে টেনে নিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা। কেউ লিখেছেন, ফুটবল এ কারণেই এত সুন্দর!
এই নেইমারের শটই ম্যাচের ১০৫ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডে ক্রোয়াট প্রাচীর ভেদ করে জালে জড়ায়। এই একটা শটই ব্রাজিলিয়ানদের সামনে হাতছানি দিচ্ছিল সেমিফাইনালের। সেই হাসিমাখা গল্পটা কান্নায় রূপ নিতে সময় লাগলো ১২ মিনিট।
টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ব্রাজিলের পরাজয়। অথচ দলের সেরা তারকা নেইমার শট নেয়ারই সুযোগ পায়নি। পেনাল্টিকে যিনি বানিয়ে ফেলেছেন আর্ট, সেই নেইমার এই ম্যাচের পেনাল্টি শ্যুটআউটে বনে গেলেন দর্শক। তার পালা আসার আগেই যে বিদায় ঘণ্টা যে বেজেছে ব্রাজিলের।
২০১৮ থেকে ২০২২, দুই বিশ্বকাপ, দুই কোয়ার্টার ফাইনাল, দুই ভুল, দুইবার স্বপ্নভঙ্গ সেলসাওদের। শুধু ক্যালেন্ডারের পাতা বদলেছে, বদলেছে ভেন্যু, বদলায়নি নেইমারের অশ্রুসিক্ত চোখ, ব্রাজিলিয়ান ভক্তদের অঝোরে কান্না।
/এমএন
Leave a reply