বিশ্বকাপে চলছে মরোক্কান রূপকথা। কোয়ার্টার ফাইনালে ইউরোপের পাওয়ার হাউস পর্তুগালকে হারিয়ে সেই রূপকথায় আরও একটি ঝলমলে কৃতিত্বের অধ্যায় হয়েছে যোগ। আফ্রিকার কোনো দেশ এই প্রথমবারের মতো উঠলো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। সে কথাই শোনা গেছে মরোক্কান কোচ ওয়ালিদ রেগ্রাগির কণ্ঠে। তিনি বলেছেন, আফ্রিকার জন্যই আমাদের ইতিহাস লিখতে হতো। খবর বিবিসির।
মরক্কোর কোচ আরও বলেন, আমরা সত্যিকারের শক্তিশালী দল পর্তুগালের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছি। আমরা সামর্থ্যের শতভাগ দিয়েই লড়াই করে গেছি। এখনও স্কোয়াডের বেশ কয়েকজনের ইনজুরি রয়েছে। আমি ম্যাচের আগেই খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, আফ্রিকার জন্যই আমাদের ইতিহাস লিখতে হবে। আর সেটাও হয়েছে। আমি খুবই খুশি।
কোয়ার্টার ফাইনালে ৪র্থ আফ্রিকান দেশ হিসেবে মাঠে নামে মরক্কো। সাথে প্রথম বারের মতো শেষ চারে খেলার স্বপ্নের হাতছানি। মরক্কোর কাছে স্বপ্নের মতো কাটছে কাতার বিশ্বকাপ। কোয়ার্টার ফাইনালে এসেও দেখা গেলো তাদের চমক। আত্তিয়াত আল্লাহের ক্রস থেকে ইউসেফ এন-নেসাইরির দুর্দান্ত হেডে পর্তুগালকে চমকে দিয়ে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো। তারপর দুর্দান্ত জমাট রক্ষণের পরিচত আরও একবার দিয়ে পর্তুগালকে খাল হাতেই বিদায় করলো হাকিম-হাকিমি-আম্রাবাতদের দল।
আরও পড়ুন: ‘যেন স্বপ্নে বাস করছি, এই ঘুম না ভাঙুক!’
মরক্কোর দর্শকদের মুখ থেকেই শোনা গেছে তিনটি শব্দ- গর্ব, বিশ্বাস ও আস্থা। তারা বিশ্বাস করে, অন্যদের কাছে অপ্রত্যাশিত মনে হলেও হাকিমি-হাকিমরা যেতে পারেন বহুদূর। মরক্কোর গর্বিত সমর্থকদের মুখে শোনা গেল, নিজেদের প্রতি আস্থাই তাদের শক্তি জোগায় জায়ান্টদের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়তে। আর তার মাধ্যমেই আজ রাতে মরক্কো তাদের বিশ্বকাপ মঞ্চের ট্র্যাক রেকর্ডে লিখলো নতুন একটি শব্দ, ইতিহাস।
আরও পড়ুন: অশ্রুসিক্ত চোখে বিশ্বমঞ্চ থেকে মহানায়কের বিদায়
/এম ই
Leave a reply