আলমগীর স্বপন:
সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে কঠোর আন্দোলনের পথে বিএনপি। সরকারও কঠোর অবস্থানে। এছাড়া, সমাবেশের স্থান নিয়ে টানাপোড়েন, মহাসচিবসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার, বাধা, সংঘর্ষের ঘটনা ভবিষ্যত রাজনীতিকে আরও জটিল করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। এর সুযোগ নিতে পারে তৃতীয়পক্ষ, এমন আশঙ্কা তাদের।
বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের ঘোষণা রাজনীতিতে ভিন্ন বার্তা দেবে বলেও মনে করেন তারা। এ অবস্থায় দেশের স্বার্থে শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার আহ্বান বিশ্লেষকদের।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রধান দুইটি রাজনৈতিক দল শুরু থেকে একে অপরকে নিশ্চিহ্ন করার রাজনীতি করে আসছে। বিএনপির আমলে শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা, নিশ্চিহ্ন করার রাজনীতির নগ্নতম প্রতিফলন। এর পরে বর্তমান সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করছে। এটা বাংলাদেশকে বারুদের স্তুপে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তাতে একটা স্বার্থান্বেষী মহল জলন্ত দিয়াশলাই ছুড়ে মারলে দাবালন সৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, বড় দলের কর্তা-ব্যক্তিদের বা নেতাদেরকে রাত তিনটার সময় পুলিশ বাসায় গিয়ে গ্রেফতার করে নিয়ে আসবে, এটা কিন্তু যেকোনো সাধরণ জনগণের কাছে কটু লাগে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার এমন অবস্থা কাম্য নয়। বিএনপি এমপিদের পদত্যাগের ঘোষণা সংসদের কার্যক্রমের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন তিনি। তবে রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে জানান।
ড. মিজানুর রহমান খান বলছিলেন, একযোগে পদত্যাগের মাধ্যমে বিএনপি বোধহয় বার্তা দিতে চাচ্ছে, আমরা এখন থেকে পূর্ণ মাত্রায় অসহযোগে চলে গেলাম।
সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ বিএনপি ১০ দফা ঘোষণা করেছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে এ নিয়ে শীর্ষ দুই দলের আলোচনার সুযোগ আছে বলে মনে করেন তারা।
ড. মিজানুর রহমান বলেন, সংবিধান ও আইনের ভেতরে থেকে সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনা করে একটা গ্রহণযোগ্য পথ বের করে নেয়া যায়।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দ্বন্দ্ব-হানাহানি থেকে বের হয়ে আমাদের এখন রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
সংকটের সমাধান সংবিধানেই আছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
/এমএন
Leave a reply