মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণে বিশিষ্টজনদের উদ্বেগ

|

মোবাইল ফোন চেক করার মাধ্যমে সম্প্রতি সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে পুলিশের এ ধরনের আচরণ বন্ধের আহ্বানও জানান তারা।

সোমবার দুপুরে ‘ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ’ এর বিশেষ ওয়েবিনার ‘বাংলাদেশে মত প্রকাশের অধিকার: কতটুকু? কার জন্য?’ শীর্ষক আলোচনায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ফ্রাই ইউনিভার্সিটি ব্রাসেলসের গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. সাইমুম পারভেজ।

ড. সাইমুম পারভেজ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসেব দেখিয়ে বলেন, ১১ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত ৪৩৩ জনকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের (ডিএসএ) অধীনে দণ্ড দেয়া হয়েছে। ১৩০০ মামলা দায়ের এবং প্রায় ১০০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিজিএস’র একটি রিপোর্ট উদ্বৃত করে তিনি দেখান জানুয়ারি ২০২০ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর মধ্যে ডিএসএ তে ৮৯০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ২২৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম. এ. মতিন বলেন, এটি কোনো আইনই নয়। এ আইনের বিরুদ্ধে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার হরণ কেবল এই আমলেই হচ্ছে, তা নয়, বরঞ্চ আগের আমলগুলোতেই হয়েছে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, বিদেশে যে সকল সাংবাদিক সক্রিয় রয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন শুরু হয়েছে। 

সভায় আলোচকরা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণের হাতিয়ার। ২০১৩ সালের আগে শুধুমাত্র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করা হলেও বর্তমানে এ আইন দিয়ে সমাজের প্রতিটি মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply