বোরোর বাম্পার ফলনে মূল্যস্ফীতির হার কমবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

|

রিমন রহমান:

অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা নেই। নিয়ন্ত্রিত আমদানিতে বাড়ছে সংকট। মূল্যস্ফীতি এখনও নাগালের বাইরে। সবকিছুর পেছনে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বিশ্লেষকরা বলছেন, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মনে করেন, বোরোর বাম্পার ফলনে কমে যাবে মূল্যস্ফীতির হার।

পরিস্থিতি সামাল দিতে নানামুখী উদ্যোগ এখনও বিদ্যমান। ডলার ঠেকাতে এখনও আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে সরকার। পণ্যের চাহিদা কমায় রফতানিতে বাড়ছে চ্যালেঞ্জ।

অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এলসি খোলার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার সংকুলন করতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতিতে একটা চ্যালেঞ্জ আছে।

পণ্যের দাম এখনও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। চাপে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তবে, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন পড়বে। আমরা প্রবণতা দেখছি, আমদানিকৃত মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়ছে। আবার বিনিময় হারের কারণে সেখানে একটা বাড়তি চাপ হচ্ছে। এটার ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের ওপর চাপ তো পড়ছেই।

এদিকে, অভ্যন্তরীণ আয় বাড়ছে না। ফলে বাজেট বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ভর্তুকি দামে পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রেও অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি করা জরুরি।

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বললেন, অভন্তর‍ীণ আয় যদি বাড়ানো যায়, সেক্ষেত্রে তা দিয়ে আমরা তাদেরকে সামাজিক নিরাপত্তা দিতে পারলে স্বতি পাবেন।

অন্যদিকে, বোরো ধানের বাম্পার ফলনে স্বস্তি দেখছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বলেন, সামনের দিনগুলোতে কমে আসবে পণ্যের দাম।

উন্নয়নমূলক কাজে এখনও নিয়ন্ত্রণ রাখা হয়েছে, হাতে নেয়া হচ্ছে না নতুন কোন প্রকল্প। পুরনো প্রকল্পে অর্থায়নেও কৃচ্ছতা সাধন করছে সরকার।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply