বিশ্বকাপের উন্মাদনা: দেশে এক মাসে ১২ জনের মৃত্যু

|

বিশ্বকাপ ফুটবল উন্মাদনার খেসারতে দেশে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফুটবল নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে সংঘর্ষে, পতাকা টানাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে কিংবা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন তারা। এদের বেশির ভাগই কিশোর ও তরুণ।

খেলা হচ্ছে পরিচ্ছন্ন বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। এই খেলাই মানুষকে হাসায়-কাঁদায়; আবেগে ভাসায়। আবার এই বিনোদনই কখনো কখনো রূপ নেয় সহিংসতায়। তবে, খেলা নিয়ে উত্তেজনা আর সংঘাতকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না তরুণ প্রজন্মের বেশিরভাগই। অসহিষ্ণু মানসিকতা থেকে বের হতে পারলেই এমন ঘটনা থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে মনে করে তারা।

বিশ্বকাপ শুরুর আগের সপ্তাহ থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গত এক মাসের সংবাদ ও তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্নস্থানে নিহত হয়েছেন ১২ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৬ জন।

এদিকে, তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশ খেলাকে ঘিরে যেকোনো ধরনের হিংসাত্মক আচরণ অপছন্দ করেন। তারা মনে করেন, এটা খেলার মতো সুস্থ বিনোদনের সাথে সাংঘর্ষিক। এমন হিংসাত্মক আচরণের পেছনে মানসিক অপরিপক্বতা, অসহিষ্ণুতা ও শ্রদ্ধাবোধের অভাবকে দায়ী করছেন তরুণরা। স্রেফ বিনোদন হিসেবে খেলা দেখলে কখনো সংঘাত হতে পারে না।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাদেকা হালিম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক নানা কারণে মানুষের মধ্যে ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা কমে যাওয়ায় এখন খেলার সমর্থনের মতো তুচ্ছ বিষয়ে মানুষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ছে। রাষ্ট্র, সমাজ এবং পারিবারিক পর্যায় থেকে নাগরিকদের জন্য বিশেষ করে তরুণদের জন্য বিনোদনের বিকল্প উৎস তৈরি করতে না পারায় তারা এখন খেলা দেখা সংক্রান্ত বিষয়েই বুঁদ হয়ে থাকেন। এসব কারণেই বাগবিতণ্ডা থেকে মারামারি, এমনকি হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply