যে লুসাইলে সৌদি আরবের কাছে হার দিয়ে শুরু হয়েছিলো আলবিসেলেস্তেদের, সেখানেই তারা ঘুচালো ৩৬ বছরের শিরোপার খরা। তাইতো, লিওনেল মেসির হাত ধরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে লুসাইল স্টেডিয়াম ও কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। সারারাত আনন্দ-নাচ-গানে সময় পার করে মেসির দলের সমর্থকরা। মধ্যরাতে অত্যাধুনিক লুসাইল সিটিতে ছাদখোলা বাসে ট্রফি ট্যুর করে আলবিসেলেস্তেরা।
ফাইনাল শেষ হতেই লুসাইল বৌলিভারডে দর্শকদের সমাগম শুরু। সবাই এসেছে ছাদখোলা বাসে বিজয়ী বীরদের দেখতে। কাতারের আধুনিক এই সিটিতে এই অপেক্ষা এক সময় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে! সাড়ে তিন ঘণ্টা পেরিয়ে অবশেষে দেখা মিললো মেসি-মারিয়া-আলভারেজদের।
মেসি-মেসি স্লোগান আর চিৎকারে প্রকম্পিত লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ। রং-বৈচিত্রের অভাব নেই। বাংলাদেশি তো বটেই আফ্রিকান-এশিয়ান-সাউথ আমেরিকান সবার উচ্চারণে এই একটিই নাম- লিওনেল মেসি। ফুটবল সৌন্দর্য্যের রূপকথার অনিন্দ্য রাজকুমার লিওনেল মেসির পরিপূর্ণতায় রঙিন হলো বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি।
পুরো লুসাইল, পুরো দোহা জুড়ে চলা সারারাতের যে উৎসব সেখানে আর্জেন্টাইন ফ্যানদের বাঁধ ভাঙা উল্লাস মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। এমন উদযাপনের উপলক্ষের জন্য ফুরলো ছত্রিশ বছরের অপেক্ষা করতে হয় আলবিসেলেস্তেদের।
মেসি বাহিনীর বহুজাতিক এই সমর্থকরা নেচে-গেয়ে করেছে আনন্দ উদযাপন। কোথাও কোথাও উচ্চারিত হয়েছে বাংলাদেশ ধ্বনি।
/আরআইএম
Leave a reply