সাগরপথে ইউরোপ: নৌকাডুবিতে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে গাজা উপত্যকায়

|

অবৈধভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের সময় নৌকাডুবিতে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে গাজা উপত্যকায়। স্থানীয়দের দাবি, অর্থনৈতিক সংকট আর কাজের অভাবে সাগরপথে পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছেন গাজার তরুণরা। এমন অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের সমালোচনার মুখে পড়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের অভিযোগ, গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীটির উদাসীনতার কারণেই এই সংকট। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফাতাহ নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছ থেকে ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস। এরপর থেকেই অঞ্চলটির ওপর অবরোধ আরোপ করে মিশর এবং ইসরায়েল। এতে বন্ধ হয়ে যায় গাজার সাথে বহির্বিশ্বের একমাত্র সংযোগস্থল সাগরপথ। ফলে বন্ধ হয়ে যায় গাজায় সব ধরনের জাহাজ চলাচল ও আন্তর্জাতিক সহায়তা। অবরুদ্ধ গাজায় নেই কোনো কাজ। চরম অর্থ সংকটে সেখানকার সাধারণ মানুষ। ফলে তরুণরা বাধ্য হচ্ছেন সাগরপথে ইউরোপে পাড়ি জমাতে। এ পরিস্থিতির জন্য হামাস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছে প্রাণ যাওয়া তরুণদের পরিবারের সদস্যরা।

নিহতের স্বজনরা জানান, এখানে যদি কাজ থাকতো তাহলে তো আমাদের সন্তানেরা অবৈধভাবে বিদেশে পাড়ি জমাতো না। আর এভাবে তাদের মৃত্যুও হতো না। অথচ কর্মসংস্থান তৈরিতে হামাস কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগই নেই। যদি তারা প্রশাসন না চালাতে পারে তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে দিক। তাদের গাফিলতির কারণে আমাদের সন্তানদের কেন মৃত্যু হবে?

জরিপ বলছে, গাজার ৫০ শতাংশ তরুণই বেকার। ফলে সাগর পাড়ি নিয়ে তিউনিসিয়া হয়ে ইউরোপে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। সম্প্রতি এই প্রবণতা বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে প্রাণহানির সংখ্যাও। গেল ২ মাসে মৃত্যু হয়েছে ২৪ ফিলিস্তিনির। ২০১৪ সাল থেকে সাড়ে তিনশ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে গাজা থেকে সাগরপথে বিদেশে পাড়ি দেবার সময়।

উল্লেখ্য, হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply