স্বপ্ন হবে সত্যি, আকাশে উড়বে গাড়ি

|

আকাশে উড়বে গাড়ি। মানুষের যাতায়াতকে আরও সহজ করতে এমনই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ফ্লায়িং কার তৈরি করেছে ইসরায়েলের একটি প্রতিষ্ঠান। এরইমধ্যে প্রথম পরীক্ষায় সফলভাবে আকাশে উড়েছে গাড়িটি। ২০২৪ সালের মধ্যে বাজারেও আসবে এটি। মানুষের ব্যক্তিগত আকাশযানের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতেই তাদের এই প্রকল্প। কোম্পানিটির আশা, আধুনিক বিশ্বে যানজট মুক্ত যাতায়াত ব্যবস্থা গড়ে তুলবে তাদের গাড়ি। খবর রয়টার্সের।

চাইলেই যদি আকাশে ওড়া যেত এমন স্বপ্ন দেখেনি কে? কিংবা প্রচণ্ড যানজটে বসে বিরক্ত হয়ে উড়েই বাড়ি যাওয়ার কথা কে ভাবেনি? মানুষের সেই স্বপ্ন রূপ নিতে পারে বাস্তবে, এমনি আশা দেখাচ্ছে ইসরায়েলের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি। তাদের তৈরি উড়ন্ত গাড়ি শিগগিরই বাজারে আসছে। তাই অদূর ভবিষ্যতে এই গাড়ি কিনে মানুষ যখন খুশি আকাশে উড়ার ইচ্ছে পূরণ করতে পারবে।

এরইমধ্যে এয়ার ওয়ান নামের বৈদ্যুতিক গাড়িটি পরীক্ষামূলভাবে আকাশে উড়েছে। প্রথমবার মানুষ ছাড়া উড়লেও কিছুদিনের মধ্যে যাত্রী নিয়ে আবারও এর পরীক্ষা চালানো হবে। দুইবছরের মধ্যে এটি বিক্রিরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর আগে আরও কয়েকটি কোম্পানি উড়ন্ত গাড়ির পরীক্ষা চালালেও, এয়ার নামের এ কোম্পানিটির আশা- সবার আগে তাদের গাড়ি বাজারে আসবে।

এয়ার ইসরায়েলের সিইও র‍্যানি প্লাউট বলেন, এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। এয়ার ওয়ান উৎপাদনের যে স্বপ্ন আমরা দেখেছি তার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। এর আগে যত ফ্লায়িং কার দেখেছি তাদের চেয়ে আমাদের এটি সম্পূর্ণ আলাদা। ইলেক্ট্রিক ট্যাক্সি, বাস, স্কুটারের মতো আমরা বাণিজ্যিকভাবে এটি উৎপাদনের পথে অনেক দূর এগিয়েছি। আমরা ব্যক্তিগত আকাশযানের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে যাচ্ছি।

চালকসহ দুজন বহন করতে পারবে এয়ার ওয়ান। প্রতিদিন স্বল্প দূরত্বে যাতায়তের জন্য ছোট্ট এই গাড়িটি হতে পারে সেরা উপায়। একবার চার্জ দিলে এটি অতিক্রম করতে পারবে ১০০ মাইল পর্যন্ত। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দাবি, যাত্রীর নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এর ডিজান করা হয়েছে।

৩৬৬ মিটার উচ্চতায় ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে এটি। প্রাথমিকভাবে প্রতিটি গাড়ির মূল্য ধরা হয়েছে দেড় লাখ ডলার। এরইমধ্যে বাজারে আসার আগেই ২৬০টিরও বেশি গাড়ি প্রি-অর্ডার করা হয়েছে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply