ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়া নয়, তৃতীয় কোনো শক্তি দায়ী: পুতিন

|

বিবিসি থেকে নেয়া ছবি।

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের জন্য রাশিয়া নয়, বরং তৃতীয় কোনো শক্তি দায়ী- বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ যুদ্ধকে মস্কো ও কিয়েভ দু’পক্ষের জন্যই দু:খজনক আখ্যা দিয়ে পুতিন বলেন, ইউক্রেনকে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবেই বিবেচনা করে রাশিয়া। এদিকে, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং পশ্চিমা অস্ত্র সহায়তার কারণে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে বলে শঙ্কা জানিয়েছে ক্রেমলিন। খবর বিবিসির।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে কূটনৈতিক উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, তখনই এ ইস্যুতে মুখ খুললো মস্কো। আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়া বিবৃতিতে মস্কো জানায়, এ ধরনের সফরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।

জেলেনস্কির যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে রুশ মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেনকে পশ্চিমা শক্তি অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র। অবশ্যই তাদের এসব কার্যক্রম চলমান এ যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করবে। বিশেষ করে এই পদক্ষেপ (জেলেনস্কির যুক্তরাষ্ট্র সফর) ইউক্রেনকে আরও বিপদে ফেলবে।

এদিকে, বুধবারই সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ বৈঠকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য মস্কো নয় বরং তৃতীয় পক্ষই দায়ী-বলে মন্তব্য করেন পুতিন।

ঐ বৈঠকে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ভৌগলিক এবং ঐতিহাসিকভাবেই ইউক্রেনের সাথে সম্পৃক্ত রাশিয়া। ইউক্রেনের মানুষ আমাদের ভাইয়ের মতো। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আমরা ইউক্রেনকে ঋণ দিয়েছি, বিনামূল্যে জ্বালানী দিয়েছি। এবং এটা এক দুই দিনের জন্য না, বছরের পর বছর এ সহায়তা করে এসেছি আমরা। আজ ইউক্রেনের সাথে যে যুদ্ধ হচ্ছে তার জন্য আমরা দায়ী নই। বরং তৃতীয় একটি পক্ষ দায়ী।

সামরিক বাহিনীর জেনারেলদের সাথে বছরের শেষ এ বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর সফলতার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। এ সময় মস্কো ইস্যুতে পশ্চিমের নীতির সমালোচনা করেন পুতিন। রাশিয়াকে গণতান্ত্রিক দেশ আখ্যা দিয়ে বলেন, এখানে সামরিক শাসনের কোনো সুযোগ নেই।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, যুদ্ধের চেয়ে বড় ট্র্যাজেডি আর কিছুই হতে পারে না। মানুষ ও সম্পদের ওপর যুদ্ধের যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে তা কখনই পূরণ হবার নয়। কিন্তু আমাদের জন্য কেউ হুমকি হলে সেক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। সামরিক সক্ষমতা বাড়ানো আমাদের উদ্দেশ্য হলেও রাশিয়া একটি গণতান্ত্রিক দেশই থাকবে। এখানে সামরিক শাসনের কোনো স্থান নেই।

প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ২৭টি দেশ অস্ত্র সরবরাহ করেছে কিয়েভকে। যার মূল্য প্রায় ৯৭ বিলিয়ন ডলার।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply