রাশিয়ার হামলা মোকাবেলায় বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একট পাচ্ছে ইউক্রেন। প্যাট্রিয়ট নামের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে ইরানের আলোচিত ‘শহিদ’ ড্রোন- সবই ধ্বংস করতে সক্ষম। যদিও এটি খুবই ব্যয়বহুল। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি প্যাট্রিয়টের নির্মাণ ব্যয় ১০০ কোটি ডলারের বেশি। বিশ্বের মাত্র ১৮টি দেশের কাছে আছে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। খবর এপির।
তীব্র শীতের মাঝেও ইউক্রেনে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে রুশ বাহিনী। নতুন বছরে হামলা আরও জোরদার হবে এমনই শঙ্কা কিয়েভের।
রুশদের আধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র আর ইরানে তৈরি ড্রোন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে। তাই আসন্ন অভিযানের মুখে নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারে পশ্চিমাদের সহায়তা চেয়েছে কিয়েভ। তারই প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনকে সর্বাধুনিক প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রতিষ্ঠান রেথিয়নের তৈরি প্যাট্রিয়ট মূলত ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। অত্যাধুনিক এই সমরাস্ত্রের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমান, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র- সবকিছুই ধ্বংস করা সম্ভব। এমনকি ইরানের ‘শহিদ’ ড্রোনও ধ্বংস করতে পারবে এটি।
প্রতিটি প্যাট্রিয়ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি ট্রাক থাকে। প্রতিটি ট্রাকে আটটি লঞ্চারের পাশাপাশি ভূমিতে থাকে রাডার, কন্ট্রোল রুম ও জেনারেটর। ১৬০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুও ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। একসাথে ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে পারে এটি। একসাথে ধ্বংস করতে পারে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র।
১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে সৌদি আরব, কুয়েত ও ইসরায়েলকে রক্ষায় প্রথমবারের মতো প্যাট্রিয়ট ব্যবহার করা হয়। এরপর ২০০৩ সালে ইরাকে আগ্রাসন চালানোর সময়ও এটি ব্যবহার করেছিল মার্কিন সেনারা।
যুক্তরাষ্ট্র এখন পাঠালেও সহসাই এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারছে না ইউক্রেন। প্রথমে এটি নেয়া হবে জার্মানিতে। সেখানে ইউক্রেনের সেনাদের দেয়া হবে প্যাট্রিয়ট চালানোর প্রশিক্ষণ। এই প্রক্রিয়া শেষ হতেই লেগে যাবে কয়েক মাস।
এখন পর্যন্ত ২৪০টি প্যাট্রিয়ট তৈরি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আর মাত্র ১৭ দেশের কাছে রয়েছে অত্যাধুনিক এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এটিএম/
Leave a reply