আখাউড়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেনকে ছুরিকাঘাত এবং দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় কাউন্সিলর
ইব্রাহিম মিয়া সুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের সহযোগিতায় র্যাব- ৯ সিলেটের শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল পৌরশহরের রাধানগর দাসপাড়া থেকে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে বলে আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম যমুনা নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার ব্যক্তি আখাউড়া পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং রাধানগর বণিকপাড়ার বাসিন্দা মুরাদ মিয়ার ছেলে। আহত তোফাজ্জল হোসেন পৌরশহরের নারায়ণপুরের বাসিন্দা।
আখাউড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, পৌরশহরের সড়ক বাজারের মায়াবী সিনেমা হল মোড়ের খালপাড়ে তোফাজ্জল হোসেন তার দোকান নির্মাণ কাজ করছেন। ওই দোকানের সীমানা নিয়ে পৌরশহরের খালাজুরা গ্রামের আব্দুল আজিজ মিয়ার সাথে তোফাজ্জলের দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব বিরোধের জেরে বুধবার দুপুরে আজিজ মিয়ার পক্ষ হয়ে পৌর কাউন্সিলর সুজন মিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা তোফাজ্জল হোসেনের দোকানের নির্মাণ কাজে বাধা দেয়। এসময় তোফাজ্জল হোসেন প্রতিবাদ করলে কাউন্সিলর সুজন মিয়ার নির্দেশে তার সহযোগিরা তোফাজ্জলকে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে সুজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তোফাজ্জল হোসেনের পিঠে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার পীঠে গুরুতর জখম হয়। এসময় অভিযুক্তরা তোফাজ্জলের নির্মাণাধীন দোকান ও বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে এবং তোফাজ্জলের পকেট থেকে ৭৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় তোফাজ্জলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে আসামিরা ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত তোফাজ্জলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় তোফাজ্জলের বড় ভাই মো. জামির হোসেন বাদী হয়ে বুধবার রাতেই থানায় মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া সুজন, তার পিতা মুরাদ মিয়া এবং কাউন্সিলের দুই ভাইসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়।
আখাউড়া থানার ওসি আসাদুল ইসলাম যমুনা নিউজকে বলেন, গ্রেফতারকৃত কাউন্সিলর সুজনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তার বাবা ও ভাইসহ অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
এটিএম/
Leave a reply