কাতারে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও বিশ্বকাপ ইতিহাসের দশ সফল দলের তালিকার শীর্ষস্থান এখনও ধরে রেখেছে ব্রাজিল। পাঁচবারের শিরোপাজয়ীরা সব আসরে অংশ নেয়ার পাশাপাশি জয়ের তালিকায়ও আছে সবার উপরে। অন্যদিকে, ৩৬ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছে আর্জেন্টিনা। আর তাতেই ইতালিকে টপকে তালিকার তিনে উঠে এসেছে আলবিসেলেস্তেরা।
দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি দাপট ব্রাজিলের। গেলো ২০ বছরে শিরোপা জয় করতে না পারলেও সাফল্যের কাতারে সবার ওপরে তারা। ২২ আসরে সর্বোচ্চ ১১৪ ম্যাচ খেলেছে সেলেসাওরা। ৭৬ জয়, ১৯ ড্র আর ১৯ হারে ২৪৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে অবস্থান পাঁচবারের শিরোপাজয়ীদের। একমাত্র দল হিসেবে বিশ্বকাপের সব আসরেই অংশ নিয়েছে ব্রাজিল।
২২৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। ২০ আসরে ১১২ ম্যাচে ৬৮ জয় আর ২১ ড্রয়ের বিপরীতে ২৩ ম্যাচ হেরেছে ডাই মানশাটরা।
কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে আর্জেন্টিনার অবস্থান তিনে। ১৮ আসরে ৮৮ ম্যাচে আলবিসেলেস্তারা জয় পেয়েছে ৪৭ ম্যাচে। ১৭ ড্রয়ের বিপরীতে, ২৪ হারে তাদের ঝুলিতে আছে ১৫৮ পয়েন্ট।
চারে থাকা ইতালি খেলেছে ১৮ আসর। এর মাঝে ৮৩ ম্যাচে ৪৫ জয়, ২১ ড্র আর ১৭ ম্যাচে হার দেখেছে আজ্জুরিরা। ১৫৬ পয়েন্ট আছে ইতালির পকেটে।
২০১৮ আসরের শিরোপাজয়ী ফ্রান্স বিশ্বমঞ্চে খেলেছে ১৬ আসরে। ৭৩ ম্যাচে ৩৯ জয়, ১৪ ড্র ও ২০ হারে ১৩১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পাঁচে অবস্থান লা ব্লুজদের।
ছয়ে থাকা ইংল্যান্ড ১৬ আসরে ৭৪ ম্যাচে পেয়েছে ৩২ জয়। ২২ ড্র আর ২০ হারে ১৩১ পয়েন্ট আছে ইংলিশদের ঝুলিতে।
তালিকায় স্প্যানিশদের অবস্থান সাতে। ১৬ আসরে ৬৭ ম্যাচে ৩১ জয়, ১৭ ড্র ও ১৯ ম্যাচে হারা স্পেনের পয়েন্ট ১১০।
মাত্র ১১ আসর খেলেও উরুগুয়ে, বেলজিয়ামের উপরে অবস্থান করছে নেদারল্যান্ডস। ৫৫ ম্যাচে ৩০ জয় পেয়েছে তারা। ১৪ ড্র ও ১১ হারে ১০৪ পয়েন্ট নিয়ে আটে আছে অরেঞ্জরা।
এদিকে, ৯ নম্বরে থাকা উরুগুয়ে ১৪ আসরে ৫৯ ম্যাচে জয় পেয়েছে ২৫ ম্যাচে। ১৩ ড্র আর ২১ হারে ৮৮ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরেছে লা সেলেস্তেরা।
শীর্ষ দশে থাকা বেলজিয়াম খেলেছে ১৪ আসরে। ৫১ ম্যাচে ২১ জয় আর ১০ ড্র’য়ে ৭৩ পয়েন্ট রেড ডেভিলসদের। হার দেখেছে ২০ ম্যাচে।
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসি এভিনিউ, বুয়েনস আইরেসের রাস্তার নতুন নামকরণ (ভিডিও)
/এম ই
Leave a reply