অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট

|

আব্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

প্রায় ২১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুদকের দাবি, রাজনৈতিক বিবেচনায় নয়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুদকের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ পত্রটি দাখিল করেছেন।

দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদে এ সম্পদের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি আফরোজা আব্বাস। মূলত, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য স্বামী মির্জা আব্বাসের ক্ষমতার প্রভাবে আফরোজা আব্বাস এ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে জানিয়েছে দুদক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আফরোজা আব্বাস নিজেকে একজন হস্তশিল্প ব্যবসায়ী হিসেবে আয়কর নথিতে উল্লেখ করলেও তার নিজের আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের আগে মির্জা আব্বাসের উল্লেখযোগ্য কোনো আয় ছিল না। তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও পরে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে অর্থ অর্জন করেন। এরপর স্বামীর যোগসাজশে আফরোজা আব্বাস ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার সম্পদ অবৈধ পন্থায় অর্জন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, অবৈধভাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৭ হাজার ৮২৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। তার বৈধ কোনো আয়ের উৎস ছিল না। তদন্তে দেখা গেছে, যে তিনি তার স্বামীর অবৈধ আয় থেকেই আয় করেছেন।

দুদক বলছে, মির্জা আব্বাস তার অবৈধ সম্পদের বৈধতা দিতেই স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের নামে সম্পদ হস্তান্তর করেছেন। আবার স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে ঘুষ নিয়েছেন আফরোজা আব্বাস। এ কারণে দুজনকেই আসামি করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। এ সময়, রাজনৈতিক বিবেচনায় নয় বরং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই আব্বাস দম্পত্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন দুদক সচিব।

প্রসঙ্গত, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালে শাহজাহানপুর থানায় মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলো দুদক।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply