মেট্রোরেল: অধিকাংশ যাত্রীই আসছেন ভ্রমণের স্বাদ নিয়ে ইতিহাসের অংশ হতে

|

মেট্রোতে চড়ার আগে সেলফিবন্দি হচ্ছেন যাত্রীরা।

মেট্রোরেলের অধিকাংশ যাত্রীই ট্রেনে উঠছেন শুধুই ভ্রমণের স্বাদ নিতে, ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে ঢাকার বাইরে থেকেও আসছেন অনেকে। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন মেট্রোতে চেপে। উদ্দেশ্য, উত্তরা (উত্তর) স্টেশন লাগোয়া দিয়াবাড়ির খোলা যায়গায় পরিবারের সাথে কিছুটা সময় কাটানো। অনেক আরাধ্য মেট্রোরেল যেনো নাগরিকদের ‘রথ দেখা কলা বেচা’র স্বাদ মেটাচ্ছে একইসাথে।

মিরপুরের বাসিন্দা ও বিআইজিএম এর গবেষক ফারজানা জাহান কলি তার দুই সন্তান আয়ান ও আমিরাকে নিয়ে উত্তরা স্টেশনের দিয়া বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন মেট্রোয় চেপে। এ সময় বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে কলি ও তার সন্তানদের।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ গভর্নেন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের গবেষক ফারজানা জাহান কলি বলেন, গত বছর আমি জাপানে ছিলাম। আমি বারবারই ওদের বলছিলাম যে এটাও জাপানিজ সিস্টেমে চলে। খোলা আকাশের নিচে সন্তানদের উচ্ছাসের সুযোগ করে দিয়েছে মেট্রোরেল। দিয়াবাড়িতে ঘোরার ইচ্ছে আগে থাকলেও আসা হয়নি। নিজের দেশের মেট্রোরেল আরও ভালো হয়েছে। ট্রেনে চেপে ওদের ঘুরতে নিয়ে আসলাম। অনেক কম সময়ে চলে আসতে পেরেছি, ভাল লাগছে।

এদিকে, উত্তরা স্টেশনে জান্নাতুল ফেরদৌস জুঁই এসেছেন ভাই-বোন আর সন্তানদের নিয়ে। ট্রেনে চেপে আগারগাঁও হয়ে চন্দ্রিমা উদ্যানে যাওয়ার কথা থাকলেও ভিড়ের কারণে ট্রেনেই উঠতে পারেননি তারা।

মেট্রোরেল উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহের বাংনামারী গ্রাম থেকে ঢাকায় ঘুরতে এসেছেন খোকন মিয়া। তারও অপেক্ষা মেট্রোরেলে ওঠার। এরকম শতশত যাত্রীকে ইতিহাসের স্বাক্ষী বানাচ্ছে মেট্রোরেল। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে তাই অপেক্ষা অনেকের। অপেক্ষা মেট্রো ভ্রমণের।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply