যমুনা টিভিতে সংবাদ প্রচারের পর ঘুষ লেনদেনে অভিযুক্ত ২ কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ

|

ফাইল ছবি

মাদারীপুর প্রতিনিধি:

যমুনা টিভিতে সংবাদ প্রচারের পর মাদারীপুরে দর-কষাকষি করে ঘুষ লেনদেনে অভিযুক্ত দুই রাজস্ব কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।

খুলনার ভ্যাট কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার স্ট্যান্ড রিলিজের বিষয়টি মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

এর আগে, মাদারীপুরে কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠে। এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। প্রতিমাসে নির্দিষ্ট অংকের টাকার বিনিময়ে দোকানের ভ্যাট কমিয়ে ধরার দরকষাকষি করতে দেখা যায় ভিডিওতে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায় সচেতন নাগরিকরা।

১০ মিনিটি ১৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ৫শ’ টাকার কয়েকটি নোট পকেটে ভরছেন রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। ব্যবসায়ীর দেয়া ঘুষের অংক পছন্দ না হওয়ায় ব্যঙ্গও করতে দেখা যায় তাকে। টাকার অংক কম হওয়ায় এক পর্যায়ে কিছুটা ক্ষুব্ধও হয়ে ওঠেন রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। ওই টাকা থেকে আরেক কর্মকর্তা ইমরান কবীরকে কিভাবে ভাগ দেবেন সেটি বোঝানোর চেষ্টা করেন ব্যবসায়ীকে।

মাদারীপুর কাস্টমস অফিসে দুই কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের ভিডিও

দরকষাকষির পর ঠিক হয়, ভ্যাট যতো টাকাই আসুক না কেন প্রতি মাসে ওই ব্যবসায়ী ভ্যাট বাবদ মাত্র এক হাজার টাকা করে দেবেন। এজন্য তাকে প্রতি মাসে অফিস খরচ বাবদ ১ হাজার টাকাসহ ৩ হাজার টাকা করে দিতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায় কথোপকথনের একপর্যায়ে কক্ষে প্রবেশ করেন রাজস্ব কর্মকর্তা ইমরান কবীর। তাকেও লেনদেন নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। পরে রাজস্ব কর্মকর্তা ইমরান কবীরকে ওই ব্যবসায়ীর দেয়া এক হাজার টাকা পকেটে ভরতে দেখা যায়।

এদিকে, অভিযুক্ত ওই দুই রাজস্ব কর্মকর্তা ভিডিওটিকে সাজানো নাটক ও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। আর ভিডিওতে থাকা ব্যবসায়ীর নাম অমিত হাসান বলে জানা গেছে। মাদারীপুর পুরান বাজারে তার পোশাকের দোকান রয়েছে।

এ বিষয়ে যমুনা টিভিতে সংবাদ প্রচারের পর ২ জানুয়ারি বিকেলে খুলনার ভ্যাট কমিশনের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত পত্রে অভিযুক্তদের স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর সার্কেল অফিসকে পত্রটি দেয়া হলে তারা খুলনায় চলে যান। অভিযুক্ত দু’জনকেই খুলনা অফিসে সংযুক্ত করে অফিসিয়াল তদন্তও করবে ভ্যাট কমিশন। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন ও বিভাগীয় মামলা করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply