‘১৩৫ এর নিচে স্ট্রাইক রেট হলে জাতীয় দলে সুযোগ নয়’- পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক শহিদ আফ্রিদির এমন শর্ত বাংলাদেশে প্রয়োগ করা সম্ভব নয়- বলে মন্তব্য করেছেন টাইগারদের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। এর জন্য তিনি দায়ী করছেন এখনকার মরা উইকেটকে। উইকেটের কারণেই ব্যাটাররা বারবার ব্যর্থ হন বলেও দাবি বিসিবির এ পরিচালক। তবে, ভারতের মতো শরীরের মেদ পরীক্ষার ডেক্সা টেস্ট নিয়েও কাজ করার কথা জানিয়েছেন সুজন।
স্পোর্টস আর ফিটনেস যেনো একই সুঁতোয় গাথা। নিজেদের ফিট প্রমান করতে বিপ থেকে ইয়ো ইয়ো কতো না টেস্টই দিতে হয় ক্রীড়াবিদদের। এর মধ্যে নতুন সংযুক্তি ‘ডেক্সা টেস্ট’। যেখানে মূলত দেখা হয় শরীরে মেদের পরিমাণ। পেশি আর চর্বির সমন্বয় আর হাড়ের কার্যক্ষমতা-শক্তিও যাচাই করা যায় ডেক্সা টেস্ট দিয়ে। কদিন হলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জাতীয় দলের জন্য বাধ্যতামুলক করেছে এই ডেক্সা টেস্ট।
ফিটনেস ইস্যু ভোগায় বাংলাদেশকেও। তাই তো, ডেক্সা টেস্ট নিয়ে বিসিবির পরিকল্পনা কি? জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, যেমন ধরুন সাইফুদ্দিনের স্কিন ফল বেশি ছিলো। ওর জন্য এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিলো যে ওকে স্কিন ফল কমাতেই হবে। ও এটা নিয়ে কাজও করেছে। এটা একটা চ্যালেঞ্জ থাকেই। সব খেলোয়াড়কেই জানতে হয় তার ফিটনেস লেভেলটা কেমন হবে।
সেই সাইফুদ্দিন এখনও চেষ্টা করছেন নিজেকে শতভাগ ফিট করতে। কিন্তু, ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেটের কি হবে? ভারত করেছে ডেক্সা টেস্ট আর পাকিস্তান নির্ধারণ করে দিয়েছে স্ট্রাইক রেট। ১৩০ এর নিচে স্ট্রাইক রেটের কেউ জাতীয় দলে জায়গা পাবেন না- বলে হুঁশিয়ারীও দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক শহিদ আফ্রিদি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, এটা পাকিস্তানেই সম্ভব। ওদের উইকেটও আছে সেরকম ওখানে সম্ভব। আমাদের ওরকম উইকেট নেই। মিরপুরের উইকেটে ১৩০ স্ট্রাইক রেট রাখতে গেলে প্রত্যেকটা টিম ১২০ রানেই অলআউট হয়ে যাবে। মিরপুরে উইকেটের একটা ফ্যাক্টর আছে, চট্টগ্রামে হলে বলতাম যে, অ্যাবসলিউটলি ফাইন। অনেক ভালো উইকেটে খেললে এটা সম্ভব।
উইকেট নিয়ে খোদ বিসিবি পরিচালকের এমন স্বীকারোক্তি; হয়তো বিপিএলের ট্যাগ লাইনও-টি২০ ক্রিকেট ব্যাটসম্যানদের না বোলার গেম!
/এসএইচ
Leave a reply