ফের ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে বিতর্কে ফ্রান্স; সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে, কড়া হুঁশিয়ারি ইরানের

|

ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ নিয়ে একাধিকবার বিতর্কের মুখে পড়েছে ফ্রান্স। সম্প্রতি আবারও আলোচনায় দেশটি। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু আয়াতোল্লা আলি খোমেইনি এবং একাধিক মুসলিম নেতার ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে এবার দেশটির কড়া হুমকির মুখে পড়েছে ফ্রান্স। এতে কড়া হুঁশিয়ারি এসেছে ইরানের পক্ষ থেকে। খবর গার্ডিয়ানের।

গত বছরের ডিসেম্বরে ফরাসি ব্যঙ্গপত্রিকা চার্লি হেবদো একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সেখানে ইরানে হিজাব বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশটির একাধিক রাজনীতিক এবং সেই সাথে একাধিক মুসলিম নেতার ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হয়। এসব ব্যঙ্গচিত্রের মধ্যে ছিল আয়াতোল্লা আলি খোমেইনির ছবিও। আর এতেই চটেছে ইরান। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে ফরাসি রাষ্ট্রদূত নিকোলাস রোচেকে তলব করেছে ইরান কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতার অজুহাতে অন্য মুসলিম দেশ ও জাতির পবিত্র বিষয়গুলোকে অবমাননার অধিকার ফ্রান্সের নেই। বিষয়টি নিয়ে ফরাসি সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চাই আমরা। একই সাথে সে দেশের প্রকাশনা সংস্থাটির অগ্রহণযোগ্য কার্যক্রমের জন্যও কঠোর পদক্ষেপেরও দাবি জানাচ্ছি।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আবদুল্লাহিয়ানও। একটি টুইট করে তিনি বলেন, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে এমন অবমাননাকর ও ঘৃণিত কাজ করা ওই ফরাসি প্রকাশনা সংস্থাটিকে চূড়ান্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে ছেড়ে দেয়া হবে না।

এরপর সরাসরি ফরাসি সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, ফ্রান্সের সরকার তার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই আমরা বরদাস্ত করবো না। তারা স্পষ্টতই একটা ভুল পথ বেছে নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ফরাসি এই ব্যঙ্গপত্রিকাটি এর আগেও একাধিকবার ধর্মীয় অবমাননাকর ছবি প্রকাশ করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ২০০৬ সালে প্রথম চার্লি হেবদো পত্রিকা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন সময় লাগাতার হুমকির মুখে পড়ে এই প্রকাশনা সংস্থা। এরপর ২০১১ সালে চার্লি হেবদোর দফতরে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply