শীতকাল মানেই একটা আলাদা অনুভূতি। এ সময় উৎসব, আনন্দ, পরিবার পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে পিকনিকে বেড়াতে যাওয়ার ধুম পড়ে যায়। কিন্তু শীতে আমেজের সাথে সাথে রয়েছে কিছু নেতিবাচক প্রভাবও। যা এড়িয়ে যাওয়া যায় না।
ঘরের বাইরে প্রবল ঠান্ডার প্রকোপ থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে বাঁচাতে হলুদের ব্যবহার অপরিহার্য। শীতের মওসুমে সর্দি-কাশি, জ্বর ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনের ভয় থেকেই যায়। তাই যেকোনো রকমের ইনফেকশন থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই আপনার ডায়েট তালিকায় হলুদকে অন্তর্ভুক্ত করুন। যেকোনো খাবারে হলুদের ব্যবহার আমাদের শরীর, স্বাস্থ্য, ত্বক এমনকি বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
আমাদের শরীরে হলুদ অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল হিসাবে কাজ করে। এছাড়া ইমিউনিটি বৃদ্ধি এবং সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে হলুদের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। আমাদের দেশে চিরন্তন প্রথা হিসাবে মোটামুটি সব খাবারেই হলুদ ব্যবহার করা হয়। হলুদকে একটি বিস্ময়কর এবং অলৌকিক উপাদান বলে মনে করা হয়ে থাকে যার শক্তিশালী কম্পাউন্ডসগুলো ক্যান্সার, হৃদরোগ, চর্মরোগ, শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন কঠিন অসুখ থেকে নিরাময়ের উপায় হিসাবে কাজ করে।
শীতে হলুদের ৫টি উপকারিতা:
ত্বকের উপকারিতা: আমাদের ত্বককে সুস্থ এবং উজ্জ্বল রাখতে হলুদের গুরুত্ব অনেক বেশি। কঠোর শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের প্রচুর পরিমাণে লিপিড এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। শীতের সময় হজমের সমস্যা ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, তাই আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই হলুদ ব্যবহার করুন। হলুদ হজমে সাহায্য করে এবং শরীরকে দূষণকারী উপাদান থেকে মুক্তি দেয়। তাই রোজ হলুদ খান এবং আপনার ত্বকের সৌন্দর্য এবং ঔজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করুন।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য: হলুদ আমাদের শরীরে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছানি, গ্লুকোমা এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকিও কমাতে পারে। প্রতিদিন নিয়ম করে হলুদ খেলে তা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে।
জ্বালা কমাতে হলুদের উপকারিতা: কারকিউমিন বা হলুদের মধ্যে এমন অনেক উপাদান আছে যা আন্টিইনফ্লামেটরি বা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
গলা ব্যথা এবং কাশির উপশম: হলুদ নিয়মিত ব্যবহার করলে শীতের প্রবল ঠান্ডার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। এর উপাদানগুলি ঠান্ডার সময় গলার ব্যথা এবং কাশির হাত থেকে আমাদের রেহাই দেয়।
সংক্রমণ থেকে রেহাই: আমাদের মধ্যে অনেকেই সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে শীতকালে হলুদ দুধ পান করেন। হলুদ ব্যাকটেরিয়াকে শরীর থেকে দূর করে শীতের বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে আমাদের রক্ষা করে। এমনকি গর্ভবতী নারীরা তাদের খাবারে হলুদ ব্যবহার করেন যাতে সহজে কোনো সংক্রমণ তাদের আক্রমণ করতে না পারে।
শীতকালে আপনার ডায়েটে প্রতিদিন হলুদ ব্যবহার করুন, এর ম্যাজিক্যাল উপাদানগুলি শুধুমাত্র খাবারের স্বাদ বাড়ায় না বরং বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে আপনাকে সহায়তা করে।
তথ্যসূত্র: নিউজ এইটিন
ইউএইচ/
Leave a reply